ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বিদায়ী অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, আমার তিন বছরের দায়িত্বকালীন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গায় পরিণত করেছি।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের গেটে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের তথা দেশের মানুষ জানে কারো কোনো সমস্যা হলে ডিবিতে গেলে সমাধান পাওয়া যেতে পারে।
গোয়েন্দা পুলিশ থেকে বদলি হয়ে ডিএমপি সদর দফতরের নতুন দায়িত্ব পাওয়া বিষয়ে হারুন বলেন, সাধারণ মানুষ ডিবির নামটা জানে। আমি চেষ্টা করেছি ডিবিকে আস্থার জায়গায় নিয়ে আসতে। আমার কাজের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ আরেকটি জায়গায় পদায়ন করেছে, বিস্তৃতি জায়গায় কাজের সুযোগ দিয়েছে। আমি মনে করি, মানুষের শেষ ভরসাস্থল হলো থানা। থানা যেন মানুষকে সেবা দিতে পারে। আমি চেষ্টা করবো সাধারণ থানায় এসে যেন সেবাটা পায়। থানায় যেন মানুষ আসে। যেকোনো ঘটনায় থানায় গেলে জিডি ও মামলা করতে পারে। আমি চেষ্টা করবো আস্থার জায়গায় থানাকে আনতে।
আপনি বদলি হয়ে যেখানে যাচ্ছেন চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া অধিকাংশ মামলা আপনার অধীনে থাকবে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ অনেক নিরীহ শিক্ষার্থী গ্রেফতারের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে তার পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) থাকাকালীন অনেক বড় বড় ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ মামলা হয়েছে। মগবাজারে টিপু হত্যা, ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের এমপি আনার হত্যা মামলাসহ অসংখ্য হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলা আমরা ডিবিতে নিয়ে তদন্ত করে, স্বাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে আমরা ঘটনার ক্লু বের করেছি। আমরা কোনো নিরীহ লোককে গ্রেফতার করিনি।
হারুন বলেন, আবার কোনো ব্যক্তি যতবড় প্রভাবশালীই হোক না কেনো, যে যদি ঘটনার সঙ্গে প্রমাণিত হয় তাকে আমরা বাদ দেইনি। এমননি ভাবে আমি মনে করি মামলা হয়েছে। যদি কেউ নির্দোষ প্রমাণ হয়, তাহলে তাদের হয়রানি করা হবে না। তবে যারা প্রকৃত পক্ষে আগুন লাগিয়েছে, স্বপ্নের মেট্রো রেলে ভাঙ্চুর করেছে, থানায় হামলা করেছে, পুলিশ সদস্যদের ঝুঁলিয়ে হত্যা করেছে। এই সকল ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩১ জুলাই) এক প্রজ্ঞাপনে হারুন অর রশিদকে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার থেকে বদলি করে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
হারুন অর রশীদের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামানকে।