পিবিএ,নড়াইল: নড়াইলে আশা খাতুন (২০) নামের এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় স্বামী রফিকুল ইসলাম(২৫) কে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শ্বাশুড়ী হনুফা বেগম পলাতক রয়েছে। সদর থানায় ২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২১ ফেব্রুয়ারী ভোরে নড়াইল শহরের দূর্গাপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে এটিকে আত্নহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করলেও নিহতের শ্বশুর গাফফার মোল্যা হত্যাকান্ডের জন্য ছেলে ও স্ত্রী দায়ী বলে জানিয়েছেন। নিহতের গায়ের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানায়। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধু আশা খাতুনের পিতা মো.নুর ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার নড়াইল সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, প্রায় এক বছর আগে পারিবারিকভাবে নড়াইল পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার আব্দুল গাফফার এর ছেলে রফিফুলের সাথে বিয়ে হয় সদরের হোসেনপুর গ্রামের মো.নুর ইসলামের মেয়ে আশা খাতুনের। বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত রফিকুল ইসলাম স্ত্রী আশা খাতুনের উপর কারনে অকারনে নির্যাতন করতো। মাদক সেবনের দায়ে কয়েক দফা জেলও খেটেছে রফিকুল। সেসব সময়ে এবং অন্য সময়ে টাকার জন্য রফিকুল ও তার মা ছেলের শ্বশুর বাড়িতে চাপ দিতো।
নিহতের মা লাভলী বেগমের অভিযোগ, আমার মেয়েকে মেরে ফেলার আগের দিনও আমার জামাই আর বেয়াইন আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে এসেছে। আমার মেয়েকে তারা শ্বাসরোধ করে মেরেছে, আমার মেয়েকে যেভাবে মেরেছে আমিও ওদের সেরকম শাস্তি চাই।
নিহতের শ্বশুর গাফফার মোল্যা বলেন, আমি তো পুলিশের সামনেই বলেছি যে,আমার ছেলে রফিকুল ও তার মা হনুফা বেগম আমার বৌমাকে মেরে ফেলেছে। আমি গরীর মানুস কিন্তু খুনি না। আমার ছেলেও স্ত্রীর বিচারও দাবি করেন তিনি।
নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, গৃহবধু হত্যার ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। মামলার মুল আসামী রফিকুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগাওে প্রেরন করা হয়েছে। অন্য আসামীকে ধরার চেষ্টা চলছে।
পিবিএ/শরিফুল ইসলাম/বিএইচ