পিবিএ,নড়াইল: নড়াইল জেলা এখন করোনা মুক্ত। মোট ১৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলো সোমবার ৩ জনের করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে নেগেটিভ আসায় এখন আর কোন পজেটিভ রোগী নেই। এর আগে গতকাল রোববার অন্যদের করোনা নেগেটিভ প্রতিবেদন আছে। আক্রান্তদের মধ্যে সদরে চিকিৎসকসহ ৪ জন এবং লোহাগড়ায় চিকিৎসক ৯জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নড়াইলে জেলা প্রশাসকের সিএ দুলাল হুসাইন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুব্রত কুমার, মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের চিকিৎক অধব্দুল মান্নান ও প্রশান্ত মল্লীককে করোনা মুক্ত ঘোষনা করেন স্বাস্থ্য বিভাগ। লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তার মোঃ শরিফুল ইসলাম, ডাক্তার মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ, ডাক্তার নাইমা আলী শান্তা, ডাক্তার মোঃ মুকুল হোসেন (স্যাকমো), মোঃ শরিফুল ইসলাম (ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট), মোঃ কবির হোসেন (ইপিআই ভ্যাকসিন পোর্টার) কে করোনামুক্ত ঘোষণা করেন। আজ সোমবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক সেবিকার স্বামী রিয়াজ হাওলাদার এবং লোহাগড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোজাম খানকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হলো। এর আগে সৈয়দ সুজন আরীকে করোনা মুক্ত ঘোষনা করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর সাথে নড়াইল জেলায় করোনা আক্রান্ত ১৩জনকেই করোনা মুক্ত ঘোষনা করা হলো।
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শরীফ সাহাবুর রহমান বলেন, করোনা কোন ভয় নয়, সচেতন থাকতে হবে। করোনা নিয়ে উৎকণ্ঠিত হবার কিছু নেই। আমরা করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করেছি। তিনি সকলকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, লোহাগড়া উপজেলায় ৯জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ছিলেন চিকিৎসা শেষে সকলে এখন সুস্থ্য। এর সাথে নতুন কোন রোগী না থাকায় এ উপজেলা এখন করোনা মুক্ত।
সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল মোমেন বলেন, নড়াইল সদরে ৩চিকিৎসকসহ ৪ জন এবং লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ৪ চিকিৎসকসহ ৯জন করোনায় আক্রান্ত ছিলো। যারা সকলে এখন করোনা মুক্ত। এ মুহুর্তে নড়াইল জেলা করোনা মুক্ত বলা যায় বলেও জানান তিনি।
পিবিএ/শরিফুল ইসলাম /এএম