কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে টনপ্রতি আড়াইশ ডলারের সার এক হাজার ডলারে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারের দাম বাড়াননি। তিনি বলেছেন, সব উন্নয়ন বন্ধ থাকলেও কোনোভাবেই সারের দাম বাড়াব না। সেই সিদ্ধান্তে তিনি এখনো অটল আছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নেদারল্যান্ডসের পিপলস পার্টি ফর ফ্রিডাম অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসির (ভিভিডি) এমপি ফিম ভ্যান স্ট্রিয়েনের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, নেদারল্যান্ডসের প্রতিনিধিরা বিশ্বাস করতে পারছেন না যে ২০০৮ সালে আমাদের তিন মিলিয়ন টন সবজি হতো, বর্তমানে তা ২২ মিলিয়ন টন। পৃথিবীর কোনো দেশে ১৩ বছরে সবজির উৎপাদন এত বাড়েনি।
বিদ্যুতের দাম বাড়ায় সেচের ওপর প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জ্বালানির প্রয়োজন আছে। কৃষি আমাদের মৌলিক খাত। প্রধানমন্ত্রীও এ খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। এ কারণে সরকার সার, রাসায়নিক,পানি, সেচের ওপর প্রণোদনা ও ভর্তুকি দিচ্ছে।
ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমরা চাই কৃষকের জীবনযাত্রার মান উন্নত হোক। আমাদের দেশের ৬০-৭০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করেন। তারা জীবিকার জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বিদ্যুতের দাম বাড়লে তাদের জীবনযাত্রার মানে প্রভাব পড়বে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পড়েছে। ফলে সরকারেরও বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে কোনো উপায় নেই।
তিনি আরো বলেন, আমরা সারে ভর্তুকি দেই- সেটা আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও মানতে চায় না। তারা সারাজীবন বাধা দিয়েছে। বিএনপির সময় যে সার ৯০ টাকা ছিল, আমরা তা ১৬ টাকায় দিয়েছি। তখন প্রধানমন্ত্রীর ওপর অনেক চাপ ছিল। আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বলতো, সারে ভর্তুকি দিলে আমরা উন্নয়ন করব কীভাবে? স্কুল-কলেজ ও রাস্তাঘাটের কী হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি না, বিনিয়োগ করছি। সেই বিনিয়োগের ফল পাচ্ছি।