পিবিএ,লালমনিরহাট: করোনা পরিস্থিতির কারনে ক্ষেতের তেমন পরিচর্যা করতে না পারলেও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন আশা করছেন চাষীরা।
সোনার রঙে ভরে উঠেছে মাঠের পর মাঠ। আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যে পুরোদমে শুরু হবে ধান কাটার উৎসব। গ্রামে গ্রামে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষাণ-কৃষাণি ও কৃষি শ্রমিকরা।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার চাদনি বাজার এলাকার কৃষক আব্দুল গফর (৬০) বলেন, এ বছর বোরো ধানের খেত ভালো ফলনের সংকেত দিচ্ছে। করোনার কারণে এ বছর বোরো ক্ষেতে পরিচর্যা কম হয়েছে। দেয়া হয়নি পর্যাপ্ত সার কীটনাশক ও সেচের পানি। তিনি জানান, সাধারণত প্রতি বিঘা জমি থেকে ১৮-২০ মণ বোরো ধান পেয়ে থাকেন। এ বছর ২২-২৫ মণ এমনকি এরচেয়ে বেশি ফলনের ইঙ্গিত দিচ্ছে ফসলের মাঠ। এছাড়া ঘন ঘন বৃষ্টি হওয়ায় অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর বোরো ধানের ক্ষেতে খরচ হয়েছে কম।
একই গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম (৫৫) বলেন, গত বছরগুলোতে প্রতি বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করতে খরচ হয়েছিল ৭-৮ হাজার টাকা কিন্তু এ বছর বৃষ্টি হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় খরচ হয়েছে ৫-৬ হাজার টাকা। আশা করছি ফলনের দিক থেকে গত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর বোরো ধানের ভালো ফলন পাব।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার ৫ উপজেলায় ৪৭,২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ১ হাজার ৮৪০ মেট্রিক টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামিম আশরাফ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। করোনার কারণে কৃষকরা ঠিকমতো ফসলের পরিচর্যা করতে না পারলেও বোরো ধানের বাম্পার ফলনে উৎপাদনের লক্ষ্য ছাড়িয়ে যাবে আশা করছি।
পিবিএ/আসাদ হোসেন রিফাত/এএম