মাদারীপুরে করোনা সন্দেহে আইসলেশনে কলেজ ছাত্র

পিবিএ,মাদারীপুর: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের কানুরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা এক কলেজ ছাত্রকে শনিবার সকালে মাদারীপুর সদর হাসাপাতালের আইসলেশনে ভর্তি করা হয়েছে। সে ঢাকা কলেজের চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। গত ২৫ মার্চ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে আসেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের কানুরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা এক কলেজ ছাত্রকে শনিবার সকালে অসুস্থ্য অবস্থায় কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে তার স্বজনরা। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শরীরে করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথা দেখে তাকে জরুরী ভিত্তিতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আইসলেশনে পাঠায়। পরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে আইনসলেশনে ভর্তি করে এবং তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকাতে পাঠায়। গত ২৫ মার্চ ঢাকা থেকে জনকীর্ণ যানবাহনে করে প্রচন্ড ভীড়ের মধ্যে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে আসেন।

এদিকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত মাদারীপুরে হোম কোয়ারেন্টিনে সর্বমোট ১৩৫৯ জন। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিন থেকে রিলিজ পেয়েছেন ৮৮৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে নতুন আছেন ৬ জন এবং গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টিন থেকে রিলিজ হয়েছে ৪০ জন। সদর হাসপাতালের আইসলেশনে শনিবার সকালে নতুন এক কলেজ ছাত্র ভর্তি হয়েছে এবং কয়েকদিন ধরে আইসলেশনে থাকা ১ জন রিলিজ হয়েছে। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছে ৪৭১ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন অফিস।

কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আল-বিধান মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, ওই এইচএসসি পরীক্ষার্থী গত ২৫ মার্চ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার পর তার মধ্যে করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথা দেখা দেয়। পরে জরুরী ভিত্তিতে তাকে সকালে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে আমরা তার শারীরিক অবস্থা দেখে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। তবে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে যে, সে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে কি না।

মাদারীপুর সিভিল সার্জন মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সকালে এক কলেজ ছাত্র সদর হাসপাতালের আইসলেশনে ভর্তি হয়েছে। এ ছাত্র ঢাকা থেকে তিন-চারদিন পূর্বে নিজ গ্রামের বাড়ীতে এসেছে। তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে আমরা ঢাকাতে পাঠিয়েছি। ইতালি ফেরত যারা মাদারীপুরে এসেছিল তাদেরকে আমরা হোম কোয়ারেন্টিনে রেখেছি। বিদেশ ফেরত যারা হোম কোয়ারেন্টিনে ছিল তাদের ১৪ দিনের মেয়াদ প্রায় শেষের পথে। বেশিরভাগ মানুষকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে রিলিজ দিয়েছি। এখন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ২৪ ও ২৫ মার্চ যারা জনকীর্ন যানবাহনে চড়ে ভীড় করে ঢাকা থেকে এলাকায় এসেছে তাদের নিয়ে। বহু মানুষ একত্রে জমা হয়ে যানবাহনে চলাচল করায় একটা ঝুঁকির মধ্যে আছি। চেষ্টা করছি এদেরকে চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য।
পিবিএ/নাবিলা ওয়ালিজা/এএম

আরও পড়ুন...

preload imagepreload image