রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসায়ীদের গোলাগুলিতে শিশুসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতরা হলেন- আমিন (২৭), শফিক (৩২) ও শিশু সাজ্জান (৮)। আহতদের উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, আজকে সন্ধ্যার সময় হঠাৎ করে জেনেভা ক্যাম্পের ভেতর ভয়াবহ গোলাগুলি শুরু হয়। যা অন্যান্য দিনের চেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। হঠাৎ গুলির শব্দে তাজমহল রোড, বাবর রোড ও হুমায়ন রোডের বাসিন্দারা ভয়ে এদিক সেদিক ছুটাছুটি শুরু করে। সন্ধ্যার পর থেকে গুলির শব্দে পুরো এলাকার দোকানপাট ও যানচলাচল থমকে যায়। সন্ধ্যা থেকে হওয়া সংঘর্ষ থেমে থেমে রাত পর্যন্ত গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে জানায় বাসিন্দারা।
সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাস্ট্রনের মাধ্যমে জেনেভা ক্যাম্পের মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে রাইফেল, ককটেল বোমাসহ নানা ধরনের ভারী অস্ত্র দেয়। শেখ হাসিনার পতনের পর নানকের দেওয়া সেসব অবৈধ ভারী অস্ত্রের সাথে ৫ আগস্ট মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা থেকে লুট করা অস্ত্র দিয়ে গতো দুই মাস যাবত মাদক ব্যবসায়ীরা ভয়াবহ সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছে। গতো কয়েকমাসে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে চলা এসব সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৬ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে।
ভয়াবহ সংঘর্ষের পিছনে ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সোহের ওরফে বুনিয়া সোহেল, গাল কাটা মনু, চুয়া সেলিম, আকরাম, শাহ আলম, পিচ্চি রাজা ও কলিম জাম্বুর মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ এ সংঘর্ষ চলছে। তবে, ভয়াবহ এ সংঘর্ষ দীর্ঘদিন যাবৎ চললেও স্থানীয় থানা পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর শক্ত কোন পদক্ষেপ না থাকায় এ সংঘর্ষ দিন দিন আরও ভয়াবহ আকার ধারন করছে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী ইফতেখার জানান, এ ঘটনায় আমরা আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি। তবে, আমাদের থানা হিসেবে লোকবল কম থাকায় কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।