সান্তাহারে রেলওয়ে সরকারী জমিতে ঘর নির্মাণ

পিবিএ,আদমদীঘি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে জোরপূর্বক ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী শহীদ সরদারের বিরুদ্ধে। স্থানীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির নামে অভিযোগ করলেও এখন অবধি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

কিন্তু প্রভাবশালী শহীদ সরদার রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় ঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সান্তাহার পৌর শহর পান্নার মোড় নামক স্থানে রেলওয়ের সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অনিহার কারণে জমিগুলো বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এতে করে সরকার হারাচ্ছে প্রায় কোটি টাকার সম্পদ।

জানা যায়, বগুড়ার সান্তাহার বৃহত্তর রেলওয়ে জংশন যেখানে সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বিদ্যামান। যার বেশির ভাগই দখল করে ভোগ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। রেললাইনের বাইরে থাকা বেশির ভাগ জমিই বেদখলে চলে গেছে। রেল কর্তৃপক্ষ জোরালো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দখল করা জমি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বছরের পর বছর রেলের জমি বেদখলে থেকে যাচ্ছে। ফলে বাড়ছে দখল হওয়া জমির পরিমাণ। আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।

তবে অভিযুক্ত প্রভাবশালী দখলকারী শহীদ সরদার এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননা।

এষ্টেট বিভাগের সান্তাহার রেলওয়ে কানুনগোর কার্যালয়ের চেইন ম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, শহীদ সরদারের নামে ঘর নির্মাণের প্রয়োজনীয় কোনো কাগজপত্র নেই। ইতিপূর্বে তাকে নিষেধ করা হয়েছে।

শহীদের ঘর নির্মাণ বিষয়ে প্রশ্ন করতেই সান্তাহার রেলওয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) নরায়ণ চন্দ্র সরকার বলেন, আমি সবই জানি। শুনলাম আজকেও নাকি ঘর নির্মাণ করছে। আমি প্রশাসনকে বলেছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তিনি আরও বলেন, পৌর এলাকায় রেলওয়ে সরকারী জমিতে ঘর নির্মাণের কোনো অনুমতি নেই। ওই ব্যক্তিকে অনেক বার নিষেধ করা হয়েছে। সে কোনো কথা না শুনে প্রভাব খাটিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাকশী রেলওয়ে এষ্টেট বিভাগের প্রধান সহকারী (বড় বাবু) মোঃ সানাউল্লাহ বলেন, পৌর শহরে লাইসেন্স বিহীন ঘর নির্মণ করা বেআইনি। যদি কেউ করেও থাকে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পিবিএ/সাইফ হাসান খান সৈকত/এএম

আরও পড়ুন...