সোস্যাল মিডিয়ায় যৌনতার ফাঁদ, দুই কলেজ ছাত্রীসহ আটক-৩

পিবিএ,কোম্পানীগঞ্জ: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যৌনতার ফাঁদ ফেলে প্রতারনার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রবাসী থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রীসহ তাদের সহযোগী এক বিকাশ এজেন্টকে আটক করে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খাঁনপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান’র মেয়ে মারজাহান আক্তার (১৯), সেনবাগ উপজেলার কেশার পাড় ইউনিয়নের লেদুয়া গ্রামের গোলাম মাওলার মেয়ে শাহজাদী মজুমদার (২০), নোয়াখালী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের হোসেন আহমদ’র ছেলে বিকাশ এজেন্ট মোশারফ হোসেন মনু।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কুয়েত প্রবাসী সাইফুল ইসলাম’র অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা সিআইডি পুলিশ আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাদের গ্রেফতার দেখায়। পরে ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সুধারাম থানায় মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কুয়েত প্রবাসী সাইফুল ইসলামকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রূপের জালে ফেলে কয়েক দফায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এই দুই ছাত্রী। এছাড়াও কোম্পানীগঞ্জের মধ্যপাচ্য প্রবাসী তানভির হোসেন, মোস্তফা চৌধুরী নামে দুই প্রবাসী যুবকের কাছ থেকেও কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এ নারী চক্র। এ ছাড়াও কোম্পানীগঞ্জের বেশ কয়েকজন যুবক এদের জালে ফেঁসেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে।

নোয়াখালী জেলা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ রয়েছে নোয়াখালীতে একাধিক সক্রিয় নারী চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, ইমো, হোয়াটসআপ, ম্যাসেঞ্জারে ইউরোপ প্রবাসীর কন্যা সেজে মধ্যপাচ্য প্রবাসী যুবকদের বিয়ে করে ইউরোপে নেওয়ার প্রলোভনে ফেলে প্রতারণা করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। আবার প্রথমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক পাতিয়ে ফেইসবুক, ইমো, হোয়াটসআপ, ম্যাসেঞ্জারে সেক্স করে তা কৌশলে ধারন করে নেয় পরে এসব ছবি, ভিডিও অনলাইনে ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাক মেইল করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

এ ছাড়াও গরীব অসহায় লোককে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তের কথা বলে মানবিক আবেদন দেখিয়ে, অসুস্থ রোগীদের বানোয়াট ছবি দেখিয়ে সাহায্যের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ জন্য তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক গুলো আইডি ব্যবহার করে। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর তারা আইডি গুলো পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়।

পিবিএ/রহমত উল্যাহ/বিএইচ

আরও পড়ুন...