চলতি বছর হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। নিবন্ধনের সময় আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়। আগের সময় অনুযায়ী ২৩ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে সময় পাঁচদিন বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক আগের সিরিয়াল বহাল রেখে ৪৫ হাজার ৫১৪ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক আগের সিরিয়াল বহাল রেখে ৮ লাখ ৪৬৭ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো।
কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক ৪২ হাজার ২৯৩ পর্যন্ত এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক ৭ লাখ ৮ হাজার ৩৬৪ পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন বলে তখন জানানো হয়েছিল।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টালের মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার তথ্য অনুযায়ী, সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাত হাজার ৪২০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৬ হাজার ১৬৪ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন।
এবারই সর্বোচ্চ খরচে হজ পালন করতে হচ্ছে। বিমান ভাড়াও গত বছরের চেয়ে প্রায় ৬০ হাজার টাকা বেশি। তাই হজ এজেন্সি, হজযাত্রী সবাই একটু ধীরে এগোচ্ছেন। অনেকেই পরিস্থিতি আরেকটু দেখে তারপর হজে যাওয়ার চূড়ান্ত ধাপ নিবন্ধন করতে চাইছেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার বিমান ভাড়া আর কমানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। নিবন্ধন ধীরে হলেও হজযাত্রীর কোটা পূরণ হওয়ার নিয়ে কোনো সংশয় নেই বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও এজেন্সি মালিকরা। তারা বলছেন, যত মানুষ হজে যেতে পারবেন তার চেয়ে অনেক বেশি হজে গমনেচ্ছু মানুষ প্রাক-নিবন্ধিত রয়েছেন। প্রতিদিনই মানুষ প্রাক-নিবন্ধন করছেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের নিয়ম রাখা হয়েছে। এবার সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর মধ্যে বিমান ভাড়াই এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা, যা গত বছর ছিল এক লাখ ৪০ হাজার টাকা।
গত বছর সরকারিভাবে দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ হয়। প্যাকেজ-১ এর ক্ষেত্রে এবার খরচ বেড়েছে ৯৬ হাজার ৬৭৮ টাকা, প্যাকেজ-২ এর ক্ষেত্রে এবার খরচ বেড়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা। বেসরকারিভাবে হজ পালনে গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে এক লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৪ টাকা।