৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে হত্যা

পিবিএ,গাজীপুর: অপহরণের পর তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ না দেওয়ায় শারমিন সুলতানা (৬) নামের এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের সদর উপজেলার বাঘেরবাজার বানিয়ারচালা এলাকায় । শারমিন সুলতানা গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার নলগাঁও এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে।

আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম জানান, তাঁদের পাশের বাড়ির ভাড়াটে মাহাবুব ও রাব্বি মুঠোফোনে তাঁর কাছে জানান, শারমিনকে অপহরণ করা হয়েছে। মেয়েকে পেতে হলে তিন লাখ টাকা দিতে হবে। টাকা দিতে দেরি হলে মেয়েকে মেরে ফেরার হুমকিও দেন তাঁরা।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার বানিয়ারচালা এলাকায় আবুল কালামের বাড়িতে পরিবার নিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকতেন জাহাঙ্গীর আলম। সেখানে তিনি একটি খাবার হোটেলের ব্যবসা করতেন। আজ সকালে তাঁদের পাশের বাড়ির ভাড়াটে মাহাবুব (২৭) ও রাব্বি (২০) কৌশলে অপহরণ করে শারমিনকে। পরে তাকে ভাড়া বাসায় আটকে রাখা হয়। একপর্যায়ে শারমিনের বাবা জাহাঙ্গীরের কাছে মুঠোফোনে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তাঁরা। অন্যদিকে শারমিনকে তার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এ সময় মাহাবুব ও রাব্বির ভাড়া বাসার কক্ষের টয়লেটে শারমিনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মাহাবুব ও রাব্বিকে আটক করেছে।

এক জন প্রতিবেশী জানান, শারমিনদের বাড়ির পাশের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন রাব্বি ও মাহাবুব। তাঁদের বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অপকর্মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাড়ির মালিককে তাঁদের বাসা থেকে বের করে দেওয়ার জন্য বলা হলেও ওই বাসার মালিক তাঁদের বের করে দেননি।

জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদেক হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশু শারমিন অপহরণকারীদের চিনে ফেলায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে টয়লেটে লাশ ফেলে রাখেন তাঁরা। ঘটনার তদন্ত চলছে।

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।

পিবিএ/বিএইচ

আরও পড়ুন...