অঙ্কুরে বিনষ্ট হচ্ছে নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ

 

ওবায়দুল ইসলাম রবি: খেলাধূলা এবং বিনোদনের অব্যবস্থাপনার কারণে মাদকে আসক্ত হচ্ছে যুবসমাজ। খেলাধুলা বিষয়ক সরকারী বাজেট বরাদ্দ থাকলেও নেই তার ব্যবহার। জেলার ৯টি উপজেলায় শিশু, তরুণ এবং যুবকদের জন্য উন্মুক্ত কোন খেলার মাঠ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা নেই।

জেলার গোড়াগাড়ী, তানোর, বাঘমারা, মোহনপুর, পবা, দূর্গাপুর, পুঠিয়া, বাঘা এবং চারঘাট উপজেলায় সরকারী ভাবে খেলার মাঠ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকার কারনে নতুন প্রজন্মদের মাদকের দিকে অগ্রসর হওয়া একটি প্রধান কারন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাক্তিগত সংক্ষিন্য খেলার মাঠ থাকলেও তা কর্মকর্তা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত।

বিশেষ করে জেলার মধ্যে মাদক প্রবণ এলাকার রেড সিংগনালে পরিচিত চারঘাট উপজেলা। অথচ এই এলাকায় খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কোন প্রতিষ্ঠান নেই। উপজেলার সারদা সরকারী ডিগ্রী কলেজ মাঠ খেলাধুলার জন্য অনুপযোগী এবং সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির দখলে। বিষয়টি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রি শাহরিয়ার আলমকে অবগত করা হয়েছে কিন্ত কোন ব্যবস্থা হয়নি বলে জানান স্থানীয় খেলা ও সাংস্কৃতিক প্রিয় মানুষও খেলোয়াড়গন।

প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার পাশাপাশি খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে অনুশিলনের ব্যবস্থাপনা বা অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্ত তা সঠিক ভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। এই অঙ্গনেও রাজনৈতিক প্রভাব অনেক বেশি। নিজ হাতে অংঙ্কুরেই বিনিষ্ট করা হচ্ছে নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন এলাকার সচেতন নাগরীক, শিক্ষক, সমাজসেবিসহ সর্বস্তরের সচেতন মানুষ।

দরিদ্রতার কারনে অভিভাগকগন তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে থাকনে কিন্ত খেলাধূলার জন্য নই। লক্ষ কোটির মাঝে এক – দুই জন ক্রিড়া অঙ্গনে ভাল প্রতিভাবান উদিয়মান হলেও তা বিনিষ্ট হচ্ছে দরিদ্রতার কারনে। কেউ বা হয়তো অলৌকিকভাবে জাতীয় বা আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে অংশ গ্রহনে ভাল কিছু করছে। যার কিছু অংশ সরকার নিলেও সিংহভাগ কৃতিত্ব ওই খেলোয়াড়ের পরিবারের।

সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনওদের সাথে কথা বলে জানাযায়, সরকারী বরাদ্দকৃত অর্থে প্রাথমিক, মাধ্যমকি এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে খেলাধূলার ব্যবস্থা করা হয়। তদুপরি বঙ্গমাতা ও বঙ্গবন্ধু গোলকাপ টুর্নামেন্টর আয়োজন করা হয়ে থাকে। উপজেলায় সরকারী ব্যবস্থপনায় একটি উন্মক্ত খেলার মাঠ এবং সাংস্কৃতিক অনুশিলনের ব্যবস্থা থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অংঙ্কুরে বিনিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে আসবে।

সার্বিক বিষয় নিয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরশন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এ জেলা পদ্মা নদী আববাহিকায় সুন্দর মোনরম পরিবেশের চাদরে আচ্ছন্ন। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, দূষণ মুক্ত বায়ু, স্বাস্থ্য সম্মত চাষাবাদ, শান্ত প্রিয় মানুষ, সূ-শৃঙ্খল রাজনৈতিক অঙ্গন যা ইতোমধ্যে দেশ ও বিদেশে রাজশাহী জেলার সুনাম আকাশে বাতাসে বিরজমান রয়েছে। কিন্ত শিশু, তরুণ এবং যুবকদের নিয়ে কিছুটা হলেও প্রত্যেক পরিবার সংশয়ের মধ্যে রয়েছে। মাদক সেবন ও দমনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন সজাগ আছেন। এই মরণ ব্যাধি জোড় করে বন্ধ করার প্রচেষ্ঠা অব্যহত আছে। যে আসক্ত তার সন্মান বা অসন্মান বোধের প্রশ্ন কি থাকে। সঠিক সময়ে যুবসমাজকে বিনষ্টের পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে অনুশিলনের ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করতে হবে।

পিবিএ//হক

আরও পড়ুন...