ঢাকা শহরে অটোরিকশা বেড়ে চলেছে। পুলিশের গলদঘর্ম অবস্থা। এই অবস্থায় নগরবাসীকে অটোরিকশা ব্যবহার না করে স্বল্প দূরত্বের পথে হেঁটে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সকালে মোহাম্মদপুর থানার আয়োজনে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের ‘পুলিশ, ছাত্র-জনতা, মোহাম্মদপুর থানার বাসিন্দাদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশনার এসব কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ডিএমপি পুলিশের ভূমিকার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে কমিশনার বলেন, আপনারা লোকালি বা অফিস আদালত বাজার ঘাট পায়ে হেঁটে করার চেষ্টা করেন। তাহলে সমস্যারা অনেকটা সমাধান হবে। যাদের স্কুল গোয়িং বাচ্চা আছে তারা কর্মস্থল বা বাসাটা স্কুলের দিকে শিফট করেন।
আপনাদের যাদের বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে হয় তারা স্কুলের পাশে বাসা ভাড়া নেন। আপনাদের এই পরামর্শটা আপনারা বাসাটা স্কুলের পাশে নেন। এখন কি করবেন ১৮ কোটি জনগণ। গরীব দেশ। সমস্যাটা তো হবে।
অপরাধীদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর বাসী অসহায় বিভিন্ন জন সভায় বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কমিশনার বলেন, আপনি যদি লোকালি না পারেন নিয়ে আমি দেখছি। আপনি পারবেন না, আমি পারব। আমার লোকনল আছে, বৈধ অস্ত্র আছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।
অটোরিকসার কারণে নগরীতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে রাস্তা ব্লক হয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, একটা শহরে ২৫ শতাংশ রাস্তা থাকা দরকার কিন্তু আছে ৭ শতাংশ। সবাই রাস্তায় গাড়ী নামালে তো আমরা পারব না। দেশ স্বাধীন হলো, গত ৫২ বছরে একটা শহরে রাস্তা ঘাট নাই, স্পেস নাই।
মতবিনিময় সভায় ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক, তেজগাঁও বিভাগের ডিসি রুহুল কবির খান, মোহাম্মদপুর থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ৫ এর আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোতাকাব্বির, র্য্যাব-২ এর অধিনায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ মোহাম্মদপুর থানা বিএনপিনেতার নেতা-কর্মী ও জামায়াতের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ৫ এর আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোতাকাব্বির,
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ মোহাম্মদপুর থানা বিএনপিনেতার নেতা-কর্মীরারা উপস্থিত ছিলেন।