পিবিএ ডেস্ক: তারুণ্যকে ক্রমেই ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ইন্টারনেট আসক্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিদিন ব্যবহার করা হচ্ছে মোবাইল ফোন। আবারও অনেকে এই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারে আসক্ত হয়ে পড়ছেন।
গবেষকরা ও মনোবিজ্ঞানী বলছেন যে, একান্ত ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি যারা শেয়ার করেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুদের সমবেদনা দিয়ে থাকেন এ ব্যাপারে উভয়ই অতিমাত্রায় ফেসবুক বা যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্ত।
একাধিক গবেষণার বরাতে হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহারে শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
আসুন জেনে মোবাইল ফোন ব্যবহারে কেন শরীরিক ও মানসিক ক্ষতি হতে পারে।
হারানোর ভয়
মোবাইল ঠিক জায়গায় আছে কিনা তা নিয়ে মন সব সময় সতর্ক থাকে। মোবাইল হারানোর ভয় থেকে মনের মধ্যে জন্ম নেয় এক সমস্যা। গবেষকেরা মোবাইলের সঙ্গে যোগাযোগ হারানোর এই ভয়জনিত অসুখের নাম দিয়েছেন ‘নোমোফোবিয়া’; যার পুরো নাম ‘নো মোবাইল-ফোন ফোবিয়া’।
ঘুমের মধ্যে প্রভাব
মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত ব্যবহার ঘুমের মধ্যেও প্রভাব ফেলে। সময় বার্তা পাঠানো, চ্যাটিং করার ফলে ঘুমের মধ্যে সমস্যা হয়।
মনোবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দুশ্চিন্তা, কাজের চাপ, ফোন নিয়ে দিন কাটানো, এমন অবস্থায় স্লিপ টেক্সটিং ঘটতে পারে। রাতে বিছানার পাশে মুঠোফোন না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা।
চোখের জ্যোতি
যুক্তরাজ্যের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, মোবাইল অতিরিক্ত ব্যবহারে দৃষ্টি বৈকল্য সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে মায়োপিয়া বা ক্ষীণ দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কানে কম শোনা
ফোন অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কানের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
হেডফোন ব্যবহার করে উচ্চশব্দে গান শুনলে অন্তকর্ণের কোষগুলোর ওপর প্রভাব পড়ে এবং মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক আচরণ করে।
কমে যেতে পারে শুক্রাণু
গবেষকেরা বলছেন, মোবাইল থেকে নির্গত ক্ষতিকর তরঙ্গ শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলে এবং শুক্রাণুর ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে।
ঘুম নেই
স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, ডেস্কটপের অতিরিক্ত ব্যবহার ও অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখার ফলে সবচে বেশি দেখা দেয় ঘুমের সমস্যা বা নিদ্রাহীনতা।
টয়লেট সিটের চেয়েও নোংরা
মার্কিন গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, টয়লেট সিটের তুলনায় ১০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে ফোনে। মুঠোফোন নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এটি জীবাণুর অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে।
পিবিএ/ইকে