পিবিএ ডেস্কঃ ফেনীর আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে সোনাগাজী ফাজিল মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী মোস্তফাকে জেরা করা হয়।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু বলেন, মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী মোস্তফা আদালতকে জানান- অধ্যক্ষ সিরাজ ইতিপূর্বে অনেক ছাত্রীর ইজ্জত নষ্ট করেছেন। রাফির ঘটনার কয়েক মাস পূর্বে মোস্তফা মাদ্রাসার জরুরি কাজে অফিস কক্ষে প্রবেশ করে দেখেতে পান, অধ্যক্ষ সিরাজ এক ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে আছে।
মোস্তফা বলেন, ‘তিনি এ দৃশ্য দেখে দ্রুত অফিস কক্ষ থেকে বেরিয়ে পড়েন। পরে অধ্যক্ষ সিরাজ তার চোখে দেখা এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে পুলিশ দিয়ে চুরির মামলায় জড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু জানান, আসামিদের জেরা শেষ হলে নতুন সাক্ষী হিসেবে রাফি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কেরোসিন বিক্রেতা সোনাগাজীর ভূঞা বাজারের জসিম উদ্দিন, সোনাগাজীর কাপড় ব্যবসায়ী বোরকা বিক্রেতা লোকমান হোসেন ও বোকরা সরবরাহকারী দোকন কর্মচারী হেলাল উদ্দিনের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য রোববার দিন ধার্য রাখা হয়েছে।আসামি পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নান্নু ও কামরুল হাসানসহ ১৬ আসামির পক্ষে প্রায় ২০ জন আইনজীবী মোস্তফাকে জেরা করেন।
সিনিয়র আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নান্নু জানান, নৈশপহরী মোস্তফা যে সব সাক্ষ্য আদালতে দিয়েছে, তার কোনোটাই সঠিক নয়। মোস্তফার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার বিভিন্ন মালামাল চুরিসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা বিভিন্ন সময় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে মোস্তফা মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নুসরাত হত্যা মামলার সব আসামিকে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নুসরাতের মাদ্রাসার নৈশপহরী মো. মোস্তফার সাক্ষ্য শেষে আসামিদের আইনজীবীদের জেরা শুরু হয়।
পিবিএ/এমএস