পিবিএ ডেস্ক: চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এ জে আই গ্রুপের ৫৭ লাখ টাকা চুরির ঘটনায় জড়িত গাড়িচালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রধান আসামির বাসার সামনের উঠান খুঁড়ে ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার আদালতে ওই তিন আসামি টাকা চুরি করার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা জেলা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ভোলা জেলার দৌলতখান থানার জয়নগর গ্রাম থেকে আসামিদের গ্রেফতার করে বুধবার দুপুরে তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দৌলতখান থানার জয়নগর গ্রামের মৃত বারেক বিশ্বাসের ছেলে গাড়িচালক মো. শহীদ বিশ্বাস (৩৭), তার স্ত্রী আরজু বেগম (২৬), মধ্য জয়নগর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মো. জুয়েল (২১) ও কলাকোপা গ্রামের মৃত মান্নানের ছেলে মো. শাহবুদ্দিন (৩৩)।
টাকা চুরি নিয়ে শহীদ আদালতকে বলেন, চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের কোম্পানির চালক হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর কাছে অনেক লোকে টাকা পেত। কোম্পানির কর্মকর্তা জহির তাঁর গাড়িতে করে একদিন ব্যাংকে রওনা হন। জহির গাড়িতে টাকা রেখে যান। তখন ওই টাকা দেখে লোভ হয়। ওই টাকার ব্যাগ নিয়ে তিনি চলে যান। ব্যাগে ছিল ৫৫ লাখ টাকা।
শহীদের স্ত্রী আরজু বেগম আদালতকে বলেন, তাঁর স্বামী অনন্ত জলিলের কোম্পানি থেকে ৫৫ লাখ টাকা চুরি করে বাড়ি আসে। ওই টাকার কিছু অংশ তিনি তাঁর ব্যাংক হিসাবে রাখেন। বাকি টাকা বাড়ির উঠানে মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখেন।
ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা মো. আবুল বাসার পিবিএ’কে বলেন, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. সাঈদুর রহমানের দিকনির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আশরাফুল আলম, এসআই মো. নজরুল ইসলাম, এএসআই জাহিদ ও এএসআই আজহারুলসহ একটি বিশেষ দল নিয়ে আমরা টাকা উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করি।
তিনি জানান, মামলার প্রধান আসামি শহীদ, তার স্ত্রী আরজু বেগম, সহযোগী আসামি জুয়েল ও শাহাবুদ্দিনকে দৌলতখান থানার জয়নগর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আসামিদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে মূলহোতা শহীদের নির্মাণাধীন বাড়ির সামনে মাটির নিচ থেকে ২০ লাখ টাকা এবং তার স্ত্রী আরজুর কাছ থেকে সাত লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের গাড়িচালক শহীদ ৫৫ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে টাকা উদ্ধারে কাজ শুরু করে পুলিশ।
পিবিএ/ইকে