শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জন্য চিকিৎসক টিম পাঠিয়েছে বিএনপি। রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
শায়রুল বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে অনশনরত অসুস্থ শিক্ষার্থীদের শারীরিক খোঁজখবর নিতে দলের পক্ষ থেকে বিএনপি স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক টিম সেখানে গিয়েছেন।
তিনি জানান, ২৩ জানুয়ারি রোববার দুপুর ২টায় উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়ে উপস্থিত চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন টিকিৎসক প্রতিনিধি দল।
ডা. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে চিকিৎসক প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন- ডা. আশরাফুল হাসান মানিক, ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডা. সাদিক আব্দুল্লাহ চৌধুরী ও ডা. অনিক ইসলাম প্রমুখ।
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে।
গত রোববার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করে শাবি শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে পরদিন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল বের করেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি এবং ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা পদত্যাগ না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত অনশন চলবে। অনশনকারী শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের খাদ্য বা তরল জাতীয় খাবার খাবেন না। যদি অনশনের কারণে কোনো শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়, তাহলে দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং উপাচার্যকে নিতে হবে।
গতকাল শনিবার শাবির শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আবারও আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছেন।