পিবিএ ডেস্কঃ বর্তমানে প্রতিটা মানুষ খুবই ব্যস্ত, আর এই ব্যস্ত জীবন প্রভাব ফেলে আমাদের শরীরের ওপর। কাজের ডেড লাইন, দৈনন্দিন জীবনের দৌড় -ভাগ এবং তার সাথে মানসিক চাপ প্রতিটা মানুষের শরীরে খুবই ঋণাত্মক প্রভাব ফেলে। এর ফলে শুধু যে আপনার শরীর প্রভাবিত হয় তাই নয় , সেই সাথে প্রভাবিত হয় আপনার আবেগ ও যার ফলে অনেক সময় তা আপনার শারীরিক সম্পর্কের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় দেখা যায় স্বামী-স্ত্রী একে অপরের কাছাকাছি এলেও ক্লান্তির ফলে তারা ততটা আগ্রহ দেখায় না, যতটা দেখানো উচিত। এর পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। যদি আপনার সাথেও এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে বিশেষ কিছু দিকে আপনাকে নজর রাখতে হবে।
১. অনেক সময় বিশেষ মুহূর্তে আপনি যদি পারফর্মেন্স নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন তাহলে তা আপনার শারীরিক সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি নিজের ব্যক্তিগত সম্পর্ককে উপভোগ করতে পারেন না, উপভোগ করার আগেই সমস্ত উৎসাহ উৎসাহ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ঘনিষ্ট মুহূর্তে মাথায় কোনো রকম চিন্তা না রেখে শুধু মাত্র বিশেষ মুহূর্তকে আরও কিভাবে উপভোগ করা যায় সেই দিকে ধ্যান দিন।
২. অনেকে মনে করে মদ্যপান করার পরে সাথির কাছে আসাটা অনেক বেশি সহজ হয়। আসলে প্রচলিত আছে যে, নেশার ঘরে শারীরিক সম্পর্ক আরও সুগম করে তোলা যায়, কিন্তু বাস্তবে উল্টোটাই দেখা যায়। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় শরীর বা মস্তিস্ক কোনোটিকেই আয়ত্তে রাখা যায় না, যার ফলে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্ট হয়।
৩. অনেক সময় মহিলাদেরও সমস্যা হতে পারে, মহিলারা লূইব্রিকেন্ট-এর সমস্যায় ভুগতে পারে। এই রকম অবস্থায় বাজারে উপস্থিত লূইব্রিকেন্ট-এর ব্যবহার করতে পারেন।
৪. যদি দীর্ঘ সময় ধরে আপনি কোনো রকম শারীরিক সমস্যার শিকার হয়ে থাকেন, যদি তার জন্য আপনাকে ঔষধ নিতে হয়, তবে আপনাকে এই বিষয়ে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
৫. খাওয়া-দাওয়া আপনার জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রকেই প্রভাবিত করে থাকে। তাই এই রকম অবস্থায় খাওয়া -দেওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়াটা খুবই জরুরি।
পিবিএ/এমআর