পিবিএ: ভারতের শো সারেগামাপা’ গানের রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছেন বাংলাদেশের তরুণ গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। এই শোতে প্রতি পর্বেই তার গানে মেতেছেন বিচারক থেকে শুরু করে দুই দেশের দর্শক। দুই বাংলায় নোবেলের ভক্তের সংখ্যাও কম নয়। ‘সারেগামাপা’ প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন নোবেল। এরপর থেকেই নতুন চিন্তা নিয়ে এগুচ্ছেন তিনি।
গান ও নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করছেন। সব মিলিয়ে কেমন আছেন? কেমন কাটছে সময়? উত্তরে নোবেল বলেন, খুব ভালো। এখন অনেক পরিকল্পনা ঘুরছে মাথার মধ্যে।
দেখা যাক কি হয়। ‘সারেগামাপা’য় তৃতীয় হয়েছেন। আপনার ভক্তরা মনে করেন আপনি চ্যাম্পিয়ন হতে পারতেন। এ বিষয়ে আপনার কি মত? নোবেল বলেন, ‘সারেগামাপা’ থেকে আমি অনেক পেয়েছি। আজকের নোবেল হয়ে ওঠাও সেখান থেকেই। ভক্ত-শ্রোতাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সঙ্গে ‘সারাগামাপা’ কর্তৃপক্ষের কাছেও।
সবাই দোয়া করবেন যেন ভালোভাবে সামনে এগিয়ে যেতে পারি। এখন কি অবস্থা? পরিকল্পনা কি? নোবেল উত্তরে বলেন, এ প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার আগেই আমি ঠিক করেছিলাম মৌলিক গান করবো। কারণ একজন শিল্পীর ক্যারিয়ারে মৌলিক গান খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমিও সেই পথে এগুচ্ছি।
এরইমধ্যে মৌলিক গানের কাজ শুরু করেছি। দুই বাংলার মিউজিশিয়ানদের নিয়ে ‘সুনন্দা’ শিরোনামের একটি নতুন গান করেছি। সেটা হয়তো শিগগিরই আমার শ্রোতাদের জন্য প্রকাশ করবো। তবে আমি যাই করবো আমার ব্যান্ড সঙ্গে থাকবে।
এককভাবে কিছু করবো না। এটাই আমার সিদ্ধান্ত। সামনে কি ধরনের গান করবেন? নোবেল বলেন, প্রেম-রোমান্টিক কিংবা বিষয়ভিত্তিক, যে কোনো ধরনের গান হতে পারে। তবে আলাদা কোনো কিছু করতে চাই। সেদিক থেকে লিরিক নির্বাচন থেকে শুরু করে গান তৈরি পর্যন্ত সবাই মিলে অনেক সময় দিচ্ছি।
আমি বিশ্বাস করি একটি গানে সময় দিতে হবে। না হলে ভালো কিছু দাঁড়াবে না। বেশ কিছু মৌলিক গানের পরিকল্পনা হয়ে গেছে। তাছাড়া গুণী মানুষদের সঙ্গেও কাজ করার ইচ্ছে আছে। দেখা যাক কি হয়। সারেগামাপা’র পর অনেক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে আপনাকে ঘিরে।
সেই প্রত্যাশার চাপ অনুভব করেন? নোবেল বলেন, এটা শতভাগ সত্যি যে আমার প্রতি শ্রোতাদের অনেক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। তারা আমার কাছে খুব ভালো কিছু চান। তবে এটাকে চাপ বলতে চাই না। এটা শ্রোতাদের ভালোবাসা।
যেখানে তাদের কোনো স্বার্থ নেই। আমি আমার গান দিয়েই এই ভালোবাসার জবাব দিতে চাই। এমন কিছু গান করতে চাই যেন শ্রোতারা সব সময় মনে রাখেন। সেই লক্ষ্য নিয়েই এখন কাজ করছি। তবে আমি গাইলাম, রাতারাতি সে গান হিট হলো, কিছুদিন পর হারিয়ে গেলো- এমন গান করতে চাই না। সে কারণে গান নিয়ে গবেষণাও করছি আমরা। খুব ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্তটা নেবো। ব্যান্ডের সদস্যদের নিয়ে আমি স্টুডিওতে বসছি।
আমাদের প্রথম প্রচেষ্টা হলো ‘সুনন্দা’। আমার বিশ্বাস এ গানের বিষয়টি শ্রোতাদের জন্য একটি চমক হবে। আমাদের দেশের কোন শিল্পীদের গান আপনাকে টানে? নোবেল উত্তরে বলেন, আইয়ুব বাচ্চু ভাই, জেমস ভাই, হাসান ভাই, তাহসান ভাইসহ অনেকের গানই আমার পছন্দের।
আমি তাদের গান শুনে ইন্সপায়ার হই। তবে আমার সব থেকে পছন্দের শিল্পী হলেন আসিফ আকবর ভাই। আমি ছোটবেলা থেকেই তার গান শুনি। তার কন্ঠ ও গায়কি আমাকে টানে। গান নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি? নোবেল বলেন, আমার তো মাত্র শুরু। আমি এখনও সংগীত শিক্ষার্থী। এখনও শিখে চলেছি।
আমি জানি সংগীত শিক্ষার কোন শেষ নেই। আমিও আজীবন শিক্ষার্থী থাকতে চাই। প্রতিটি মুহূর্ত আমি শিখতে চাই। তবে আমার পথচলায় কখনও যদি কোনো ভুল হয়, সেটা সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি কৃতজ্ঞ থাকবো।
পিবিএ/ইকে