পিবিএ ডেস্ক: অন্তঃসত্ত্বা গাভী জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগে ভোলার দৌলতখানে মাংসব্য বসায়ী মোঃ ছালেম কসাই’র কর্মচারী ইউসুফকে আটক করেছেপুলিশ । পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার মাংস ব্যবসায়ী মোঃ ছালেম বশিরের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা মূল্যে একটি গাভী গরু ক্রয় করেন। পরদিন গত বৃহস্পতিবার সকালে নিয়ম-নীতি অমান্য করে সৈয়দপুর ইউনিয়নের ঘোষের-হাট সংলগ্ন মেঘনা নদীর পাড়ে গাভীটি জবাই করে। এসময় গাভীর পেটে একটি বাচ্চা দেখতে পায়। বাচ্চাটি লোকজনের অজান্তে তাৎক্ষণিক মেঘনা নদীতে পেলে দেয়। এদিকে গরু জবাই’র পর তড়িঘড়ি করে মাংস বিক্রি শুরু করে। কিছুক্ষণ পর মৃত গাভীর বাচ্চাটি জোঁয়ারের পানির সাথে কূলে ফিরে আসলে জনতা মিছিল সহকারে এসে কসাই এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে অবরুদ্ধ করে ।
এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মাংস ক্রেতারা মাংস নিয়ে তার দোকানে হাজির হয়। বাধ্য হয়ে বিক্রিকৃত মাংস’র টাকা ফেরত দেয়। পরবর্তীতে ক্ষিপ্ত জনতার চাপের মুখে ছালেম কসাই জবাই কৃত গাভীটির সকল মাংস নদীতে পেলে দেয়। এ খবর পেয়ে দৌলতখান থানার এএসআই পিন্টু দাস ঘটনা স্থলে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কসাই ছালেম ও তার কর্মচারী মোস্তাফিজ দ্রুত পালিয়ে যায়। পুলিশ গরু জবাই’র সাথে সম্পৃক্ত কর্মচারী ইউসুফকে আটক করে। এলাকার অনেকেই জানান, এরা অনেক সময় অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস আমাদের কাছে বিক্রি করে। অভিজ্ঞ মহলের মতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যেখানে-সেখানে গরু জবাই বন্ধ করে একটি নির্দিষ্ট যায়গায় পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে জবাই করলে এজাতীয় ঘটনা এড়ানো সম্ভব।