অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয়েছে: প্রেস সচিব

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ শুরু করেছি, এতে পুরো বিশ্বের সমর্থন রয়েছে। বড় বড় দেশগুলো আমাদেরকে বলছে তোমাদের কী চাই, আমরা তোমাদের পাশে আছি।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আজকের মিটিংয়ে ২৬টি দল ও জোটের ১০০ জনের মতো রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন। মিটিং এখনো চলমান আছে। মিটিংয়ে যতগুলো পার্টিকে আমরা ইনভাইট করেছি তারা সবাই এসেছেন। বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এবং জামায়াতের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, মিটিংয়ে প্রধান উপদেষ্টা দীর্ঘসময় বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছেন, প্রথম ছয় মাস অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য প্রথম ইনিংস বা অধ্যায় ছিল। আজকের বৈঠকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে। এসময় প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বলেছেন, আমরা যে দেশ গড়তে যাচ্ছি, তাতে পুরো দেশ এবং বিশ্বের সমর্থন আছে। বড় বড় দেশ আমাদেরকে বলেছে তোমাদের কি চাই, আমরা তোমাদের পাশে আছি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ইউনাইটেড নেশনসেরও পুরো সমর্থন আছে।

প্রেস সচিব আরও বলেন, হিউম্যান রাইটস কমিশনের যে প্রতিবেদনটা এসেছে, এতে মোটামুটি পুরো পৃথিবী জানতে পেরেছে যে বাংলাদেশে একটা ভয়ানক হত্যাযজ্ঞ হয়েছিল। এমনকি কীভাবে স্বৈরাচারী শাসন দেশের মানুষের অধিকার হরণ করেছিল। কিন্তু সেই অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এখন যে নতুন বাংলাদেশ গড়তে যাচ্ছি, যেখানে পুরো পৃথিবী আমাদের সঙ্গে আছে।

আমন্ত্রিত দল ও জোটের বিষয়ে উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় নাগরিক কমিটি, এলডিপি, এবি পার্টি, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিস, ডেমোক্রেটিক লেফট ইউনিটি, লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাসদ, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, গণফোরাম, আমজনতার দল, লেফট ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আরও পড়ুন...