পিবিএ,জামালপুর : জুমি নামে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ‘অপহরণ ও ধর্ষণ’ মামলা থেকে জামিন পেতে অপহৃতার ভুয়া এনআইডি করেছে অপহরণকারীর পরিবার। অপহৃতার মায়ের করা মামলা থেকে কৌশলে জামিন পেতে এ জালিয়াতির আশ্রয় নেয় জাহিদুল ইসলাম পিয়ান (২৮) নামে অপহরণকারী। পিয়ানের পরিবার থেকে তাদের বিয়ে হয়েছে বলা হলেও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জুমি ও পিয়ানের বিয়ের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ইসলামপুরের মোশারফগঞ্জের তেঘরিয়া খালেরপাড় এলাকার মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মেঘলা আক্তার জুমি (১৬) মেলান্দহের দুরমুঠ কলাবাধা হাই স্কুলের ৭ম শ্রেণিতে পড়ত। ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্কুল থেকে ফেরার পথে মেঘলা আক্তার জুমিকে অপহরণ করে দুরমুঠ গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম পিয়ান (২৮)। এ ব্যাপারে জুমির মা রোজিনা বেগম মামলা করেন। মামলাটি তদন্তপূর্বক অপহৃতা জুমিকে উদ্ধার করে মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করে পিবিআই। মামলা চলমান থাকাবস্থায় ২০১৯ সালের ১ জুন সন্ধ্যার দিকে জুমির বাড়ির পাশে থেকে আবারও অপহরণ করা হয় জুমিকে। বর্তমানে নারী-শিশু অপহরণ-ধর্ষণ মামলায় জেলহাজতে আছে পিয়ান।
শিশু অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা হতে জামিন পেতে জুমির জাতীয় পরিচয়পত্রে জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়। জাতীয় পরিচয়পত্রের খোঁজ নিতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জুমির জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম দেখানো হয়েছে ২০০০ সালে। কিন্তু জুমির পিতা-মাতার বিয়ে হয় ২০০১ সালে। জুমির জন্মস্থান ইসলামপুরের মোশাররফগঞ্জের খালেরপাড় হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে মেলান্দহের দুরমুঠ গ্রামের। জুমির পিতা-মাতা জীবিত থাকলেও মৃত উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে দেখা যায়, জুমির স্বামীর নাম ব্যবহার করা হয়েছে পিয়ান শেখ। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জুমি ও পিয়ানের বিয়ের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে জুমির পিতা-মাতা মেলান্দহ নির্বাচন অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ার মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পিবিএ’কে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
পিবিএ/ রাজন্য রুহানি/জেডআই