পিবিএ,ঢাকা: নাশকতার মামলায় অপহৃত সেই চার শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে নির্বাচনের আগের দিন সাদা পোশাকের পুলিশ পরিচয়ে তাদের তুলে নেওয়া হয়।
তারা হলেন, এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু খালেদ মোহাম্মদ জাবেদ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মো. বোরহান উদ্দিন, মানারাত ইউনিভার্সিটির শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রেজাউল খালেক ও ঢাকা ইউনানী আযুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের সাবেক ছাত্র ডা. সৈয়দ মমিনুল হাসান।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো.বাকী বিল্লাহ আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রাজধানীর কাফরুল থানার দণ্ডবিধির ও বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় এসআই মো. জিল্লুর রহমান তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়, উক্ত আসামিগণ বিএনপি-জামায়াতের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা বোমা ককটেল তৈরি করে বিএনপি জামায়াতের নাশকতায় সহযোগিতা করে আসছিল। একইভাবে উক্ত আসামিরা গত ১৭ ডিসেম্বর কাফরুল থানাধীন মিরপুরের ১৩ নং সেকশনস্থ ১/৩ পূর্ব বাইশটেকী, হাজী জব্বার সাহেবের বাসার সামনে এজহারনামীয় আসামিদের সঙ্গে তাঁতী লীগের নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর করে মামলার বাদী ইউসুফ হাওলাদারকে হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে পেট্টোল বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায়।
গ্রেপ্তারের পর আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্য যাচাই বাছাই চলছে। তথ্য যাচাই বাছাইয়ে সঠিক পাওয়া না গেলে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পরে। তাই তাদের কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন বলেও আবেদনে বলা হয়।
এর আগে উক্ত উল্লেখিত আসামিদের অভিভাবকরা গত ১ জানুয়ারি সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ফার্মগেট এলাকা থেকে নির্বাচনের আগের দিন সাদা পোশাকের পুলিশ পরিচয়ে তাদের তুলে নেওয়া অভিযোগ করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনের পর ওইদিন সন্ধ্যার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ওই চার শিক্ষার্থীকে কাফরুল থানায় হস্তান্তর করেন।
অভিভাবকদের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২৯ ডিসেম্বর (শনিবার) শাহবাগের আজিজ সুপারমার্কেট থেকে কেনাকাটা সেরে চার শিক্ষার্থী শাহবাগ মোড়ে এসে বাসার উদ্দেশে বাসে ওঠেন। ফার্মগেটে তাদের বাসটি থামিয়ে সাদা পোশাকধারী কিছু ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে আটক করে নিয়ে যায়।
পিবিএ/এফএস