অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘন্টায় আরও ৫২৯ গ্রেফতার

আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্টে সারাদেশ থেকে আরও ৫২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্টের আরও ৯৭৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে সারাদেশ থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার হয়েছেন ১ হাজার ৫০৩ জন।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের আওতায় ৫২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্টের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১ হাজার ৫০৩ জনকে।

অপারেশন ডেভিল হান্টে উদ্ধার যত অস্ত্র

১টি পিস্তল, ১টি দেশীয় তৈরী শুটার গান ১টি পিস্তলের গুলির খোসা, ১টি লাল রংয়ের তাজা সীসার কার্তুজ, ২টি কার্তুজের খোসা, ১টি চাপাতি, ২টি রামদা, ১টি ছেনি, ২টি দা, ৪টি ছোরা, ১টি ধারালো চাকু, ২টি ধামা, ১টি স্টীলের তৈরি ব্যাটন, ১টি প্লাস ও ১টি খেলানা পিস্তল উদ্ধার হয় বলে জানান ইনামুল হক সাগর।

উল্লেখ্য, ডেভিল অর্থ হচ্ছে ‘শয়তান’ আর হান্ট অর্থ ‘শিকার’। ডেভিল হান্ট, যার ইংরেজি শাব্দিক অর্থ গিয়ে দাঁড়ায় ‘শয়তান শিকার’ করা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ডেভিল হান্ট বলতে, দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে বুঝানো হয়েছে।

অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বিশেষ অভিযান। যা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এই হামলায় নেতৃত্ব দেয় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।

ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামক বিশেষ অভিযান শুরু হয়।

রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’সহ পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে রবিবার দুপুর পর্যন্ত ১ হাজার ৫০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন...