পিবিএ: রিফাত হত্যার ঘটনায় মিন্নি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এমন কোনো কথা আমি বলিনি বলে মন্তব্য করেছেন বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। তিনি বলেন,একজন আসামি রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আমি এ কথা বলতে পারি না। আমাকে কেউ কোট করে যদি নিউজ করে তবে তা ঠিক করেনি।’
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে তিনি এ সব কথা বলেন।
এসপি বলেন, ‘মিন্নিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় রিফাত হত্যায় তার জড়িত থাকার প্রাথমিক সত্যতা প্রতীয়মান হয়েছে। এরপর তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ড শেষে মিন্নিকে ফের আদালতে তোলা হবে।’
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে মিন্নিকে তার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। তখন পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রিফাত হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী মিন্নি। মামলার স্বার্থে তাকে ডেকে আনা হয়েছে।
বেশ কয়েকঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মিন্নিকে ওইদিন রাতে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। পরদিন আদালতে তুলে পুলিশের পক্ষ থেকে মিন্নির রিমান্ড চাওয়া হয়।
গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের রাস্তায় প্রকাশ্যে সবার সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার স্ত্রী বাধা দিলেও আটকাতে পারেননি হামলাকারীদের। নয়ন বন্ডের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে রিফাতকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নয়ন বন্ডসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন রিফাতের বাবা। মিন্নি ছিলেন সেই মামলার এক নম্বর সাক্ষী।
তবে গত ১৩ জুলাই রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ সংবাদ সম্মেলনে জানান, সিসিটিভি ফুটেজে পুত্রবধূ মিন্নির গতিবিধি সন্দেহজনক। রিফাতকে হত্যার সময় হামলাকারীদের থামাতে চাইলেও বিষয়টি তার কাছে পরিকল্পিত মনে হয়। তিনি মিন্নিকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানান।
পিবিএ/টিআই