অভ্যুত্থানে শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য সীমাবদ্ধ না: সারজিস

পিবিএ,পঞ্চগড় প্রতিনিধি: জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, এত বড় অভ্যুন্থানের চাওয়া শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য সীমাবদ্ধ না, স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধি হয়ে ক্ষমতায় যেতে কোন বাঁধা বা সমস্যা নেই। কিন্ত এই অল্প সময়ের মধ্যে নতুন একটি ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, নির্বাচন কমিশন ঠিক করা, বিচার বিভাগ সংস্কার করা, আইন শৃংখলা বাহিনীকে তাদের সঠিক দায়িত্ব পালনের জায়গায় ফিরিয়ে আনা একেবারেই অসম্ভব।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারী কলেজ চত্তরে শীত বস্ত্র বিতরণ করতে এসে এসব কথা বলেন সমন্বয় সারজিস আলম।

সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন সংস্কার আগে পরে এটি বিষয় না। আমরা মনে করি সংস্কার এবং নির্বাচন একই দিক থেকে চলবে। যারা এই সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে তারা কি নির্বাচনের জন্য বসে থাকবে এমনটা না। নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে যারা কাজ করছে ভোটারতালিকা হালনাগাদ সহ তারা তাদের জায়গা থেকে কাজ করবে। দুটো আলাদা প্রতিষ্ঠান আলাদা মানুষ। অন্তর্বতিকালীন সরকার তাদের জায়গা থেকে স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য যে সময়টাকে উপযুক্ত মনে করবে ওই সময়টুকু যদি হয় তাহলে আমার মনে হয় একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিরা ক্ষমতায় আসবে এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না।

আগামী সংসদ নির্বাচনে সারজিস সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের পূর্ববর্তী থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আমরা নিজেরা কোনো কিছু ঠিক করিনি মানুষ যা চেয়েছে আমরা সেটাই করেছি। প্রত্যেকটা জায়গায় বাংলাদেশের মানুষের ভিতরে একটা নতুন জিনিস এসেছে যেই তরুনরা সাহসিকতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে এত বড় একটা অভূন্থান ঘটিয়েছে যা বিগত ১৬ বছরে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ঘটাতে পারেনি। এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই । তাই ওই তরুনদের সেই সক্ষমতা রয়েছে নির্দিষ্ট কোনো একটা জায়গা থেকে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার। ওই তরুনদের যোগ্যতা আছে তারা সংসদে গিয়ে জনগণের কথা বলবে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া শুরু হয়েছে যে অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীরা সংসদে গিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করুক। সেই জায়গায় পঞ্চগড়ের মানুষ যদি তাদের জায়গা থেকে মনে করে আমিসহ নতুন প্রজন্মের যে কেউ সংসদে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে তাহলে আমিসহ নতুন প্রজন্মের যে কারো এই দায়িত্বটা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। জনগণ যদি চায় তাহলে দায়িত্বটা একটা আমানত।

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সারজিস বলেন এত বড় একটা গণ অভূন্থান এটাতো একটা ইতিহাস তৈরী হয়েছে তাই এটার লিখিত স্বীকৃতি থাকা উচিত। যারা রক্ত দিয়েছে জীবন দিয়েছে তাদের একটা স্বীকৃতি থাকা উচিত। আমরা মনে করি খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই ঘোষণাপত্রটি আসবে।

এ সময় পঞ্চগড় বারের সরকারী কৌশলি এডভোকেট এম এ বারি, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট আদম সূফি, স্থানীয় সমন্বয়ক মোকাদ্দেসুর রহমান সান, ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দিপুসহ সংশ্লিস্টরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে পঞ্চগড় পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের প্রায় দেড় হাজার দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন তিনি।

আরও পড়ুন...