পিবিএ ডেস্ক : গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ৪০ জন ভারতীয় জওয়ানকে হত্যা করেছিল পাক মদতপুষ্ট জইশ জঙ্গিরা। তারপর থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তানকে বয়কটের রাস্তায় হেঁটেছে ভারত। কূটনীতির বেড়া ডিঙিয়ে সেই বয়কট ক্রীড়া, সংস্কৃতিসহ আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রেও ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপরই নয়াদিল্লির শুটিং বিশ্বকাপে দুই পাকিস্তানি শুটারকে ভিসা না দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার জেরেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির তোপের মুখে পড়ল ভারত। ভারতের সঙ্গে আগামী দিনে সব ধরনের আলোচনা বন্ধ করার কথা জানাল তারা।
তারা জানিয়েছে, আগামীতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি অনুমোদিত কোনও প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারবে না ভারত। পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাকেও ভারতে প্রতিযোগিতা না করার অনুরোধ জানিয়েছে তারা। অলিম্পিক কমিটির বক্তব্য, প্রতিযোগীদের ভিসা না দেওয়ার ঘটনা ‘অলিম্পিক চার্টার’-এর বিরোধী। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে কোনও আয়োজক দেশ কাউকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া থেকে আটকাতে পারে না।
অলিম্পিক কমিটি তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা পুরো বিষয়টি জানার পর শেষ চেষ্টা করেছিলাম। ভারত সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছিলাম। কিন্তু পাকিস্তানি প্রতিযোগীদের ভারতে হতে চলা প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়াতে পারিনি। তাই বাধ্য হয়েই অলিম্পিক এক্সিকিউটিভ বোর্ড ভারত সরকার এবং ভারতের জাতীয় অলিম্পিক সংস্থার সঙ্গে সব রকমের আলোচনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামীতে ভারত অলিম্পিক কমিটি অনুমোদিত যেসব প্রতিযোগিতার আবেদন করেছিল বা করবে বলে ভেবেছে, বাতিল করা হল।’
প্রতিযোগীদের জন্য কোনও রাজনৈতিক বাধা থাকবে না, এই লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরই ভারতকে প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে দেওয়ার কথা ভাবা হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা।
আগামীতে অলিম্পিক সংস্থা অনুমোদিত বেশ কয়েকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা করার লক্ষ্যে দীর্ঘ দিন ধরে পরিকল্পনা করছিল ভারত। ২০২৬ সালে যুব অলিম্পিকস, ২০৩০ সালে এশিয়ান গেমস এবং ২০৩২ সালে অলিম্পিকস করার কথা ভেবেছিল নয়াদিল্লি। অলিম্পিক সংস্থার এই সিদ্ধান্তে নিশ্চিতভাবেই সেই প্রস্তুতিতে প্রভাব ফেলবে।
পিবিএ/জিজি