পিবিএ ডেস্ক: স্কুলে রুটিন করে কাদায় খেলাধুলা করানো হচ্ছে শিশুদের। শুনতে অবাক লাগলেও অস্ট্রেলিয়ার হোবার্ট স্কুলের শিক্ষকরা শিশুদের খেলাধুলা করার জন্য মাঠের একাংশে কাদামাটির ব্যবস্থা করেছেন।
শিক্ষকরা বলছেন শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য ঘরের বাইরে খেলাধুলায় গুরুত্ব দিতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা। অন্যদিকে অভিবাবকরা একে শিশুদের জন্য ভিন্নধর্মী বিনোদন হিসেবে দেখছেন।
এভাবেই কাদায় মাখামাখি করে সপ্তাহের একটি দিন পার করে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা। দেখতে অস্বাস্থ্যকর মনে হলেও শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে এর মাধ্যমে অনেক দক্ষতাই রপ্ত করার সুযোগ পায় শিশুরা।
তাই হোবার্ট স্কুলটিতে শিক্ষকরা স্কুল মাঠে কাদামাটির ব্যবস্থা, খেলার জন্য আলাদা পোশাক রাখার পাশাপাশি শিশুদের রুটিন করে কাদায় খেলতে উদ্বুদ্ধ করছেন।
শিক্ষক লির্না দাউনহোম বলেন, “আপনি যদি ওদের ভালোভাবে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন খেলার মধ্য দিয়ে ওরা মানিয়ে চলা, শেয়ার করা ইত্যাদি দক্ষতা রপ্ত করছে।”
ঘরের বাইরে পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়া ও ঝুঁকি নেয়া এসকল দক্ষতা রপ্ত করতে প্রকৃতি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন শিশু বিশেষজ্ঞরা। এবং এই ধরনের কার্যক্রম প্রত্যেক শিক্ষার্থী সম্পর্কে শিক্ষকদের ধারণা দেয়।
বিশেষজ্ঞ ডঃ জ্যানেট ডায়মেন্ট বলেন, “ডিজিটাল যুগে শিশুরা প্রয়োজনের অধিক সময় ঘরে বসে কাটাচ্ছে। যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য এবং ভবিষ্যতের জন্য খুবই ঝুকিপূর্ণ। অন্যদিকে ঘরের বাইরের পরিবেশে খেলাধুলা শিশুদের আত্মনির্ভরশীল হতে শেখায়। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষ যেন পাঠ্যসূচীর সাথে এধরণের কার্যক্রম যুক্ত করে সেদিকে চাপ দিতে হবে। “
এক বাসিন্দা বলেন, “কাঁদামাটিতে ওরা নিজেদের মত খেলা করে সেখানে আমরা ওদের কোন রকম বাধা দেইনা। বরং ওদের পর্যবেক্ষণের সময় প্রত্যেকের দক্ষতা ও ক্ষমতা সম্পর্কে আমরা জানতে পারি। ”
শিক্ষকরা বলছেন অনলাইন যুগে শিশুরা ঘরের বাইরে খেলাধুলা করেনা বললেই চলে। যা তাদের সার্বিক উন্নয়নে প্রভাব ফেলছে। তাই দেশটির স্কুলগুলো পড়াশুনার পাশাপাশি আলাদা করে খেলাধুলার প্রতি জোর দিচ্ছে।
সপ্তাহে একদিন কাদামাটি নিয়ে লুটোপুটি শিশুদের বিনোদন হিসেবে কাজ করছে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।
পিবিএ/ইকে