পিবিএ ঢাকা: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভাই-বোন বা আত্মীয় প্রার্থীর ক্যাম্পেইন করার জন্য যারা ঢাকায় এসেছিলেন, তাদের থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ, এবার আপনারা চলে যান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে অপ্রয়োজনীয়’ কোন লোকের অপতৎপরতা আমরা চাই না।’ দুই সিটি নির্বাচনে বহিরাগতের উদ্যেশে এলিট ফোর্স র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারস্থ র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন র্যাব ডিজি। আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে র্যাব কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে র্যাব।
ডিজি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে অপ্রয়োজনীয়’ কোনো লোকের অপতৎপরতা আমরা চাই না। আজ রাতে প্রচারণা শেষ হয়ে যাবে। যদি কেউ থেকেও যান, আশা করবো আপনি যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। তবে যারা জেনুইন ভোটার তাদের চলাফেরা ভোটদানে সহযোগিতা করবেন। কোন ঝামেলা করবেন না কোথাও জড়ো হবেন না। ইটস আওয়ার ইনস্ট্রাকশন।’
র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ, সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেগুলো কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে সেদিকে র্যাবের বাড়তি নজর থাকবে। তবে আমরা আগে থেকেই কিছু করতে চাচ্ছি না। কারণ অপব্যাখ্যা হতে পারে। দেশের ভোটার, আইন-বাহিনীর সদস্যরা ভোটদান ও গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ। আমি মনে করি না কেউ নির্বাচনকেন্দ্রিক অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করবেন। এরপরেও যদি কেউ করার চেষ্টা করেন তাহলে দেশে যে প্রচলিত আইন আছে সেই আইনের আওতায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তিনি বলেন, আমরা ভোটের দিন শান্তিপূর্ণ রাখার চেষ্টা করবো এটা আমাদের সবার দায়িত্ব। যাতে করে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটতে পারে। আমরা সবার সহযোগিতা চাই, সে লক্ষ্যে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
চলে যাওয়ার আহ্বান জানানোর পরও প্রচারণা জন্য ঢাকায় আসা ব্যক্তিরা ঢাকা ত্যাগ না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি-না জানতে চাইলে র্যাব ডিজি বলেন, আমরা ওই পর্যন্ত যাচ্ছি না, ঢাকার বাইরের কেউ ঢাকায় অবস্থান করলে তাদেরকে জেলে পাঠাবো এমন নয়। প্রত্যেকটা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। জেল জুলুমের ভীতি আমরা দেখাতে চাই না। আমার মনে হয় না আমার সেই পর্যায়ে রয়েছি। আমরা আহ্বান রেখেছি যাতে করে শহরে যারা জেনুইন ভোটার তারা সহজে শান্তিপূর্ণভাবে ও স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারে এবং নিরাপদ পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেজন্যই। মূলত শৃঙ্খলা রক্ষায় হচ্ছে আমাদের আহবানের মূল লক্ষ্য কাউকে জেলে পাঠানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তবে যদি কেউ জেলে পাঠানোর মত কাজ করেন, তাহলে তো জেলেই যাবেন।
র্যাব ডিজি বলেন, যদি আইন বিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড ঘটে তাহলে সংক্ষুব্ধ হয়ে যে কোনো প্রার্থী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে কমপ্লেন করতে পারেন কিংবা থানা অভিযোগ করতে পারেন।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সহিংসতার আশঙ্কার ব্যাপারে জানতে চাইলে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, উনারা আশঙ্কা করতে থাকুক, আর আমরা নির্বাচন করি অসুবিধা নাই।
‘নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে নাম অনুযায়ী প্রতিটা কেন্দ্র আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রতিটি কেন্দ্রে সিকিউর করার চেষ্টা করব। বিবদমান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যারা আছেন আমরা প্রত্যাশা করব তারা গণতন্ত্র ও মূল্যবোধ প্রদর্শন করবেন কোন ধরনের কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করবেন না। কেউ যদি কোনো কারণে সংক্ষুব্ধ হন তাহলে আইনের আশ্রয় নিন। আমরা সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই।
পিবিএ/এমআর