আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে আহত,আটক ১০

পিবিএ,লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফজলুর রহমানকে কুপিয়ে আহত করছে দেলোয়ার হোসেন নামে এক যুবক। কিছুক্ষন পর দেলোয়ার হোসেনকেও পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে পুলিশকে খবর দেয় ফজলুর রহমানের লোকজন।

বুধবার সকালে সদর উপজেলার ওই এলাকার ঠাকুর বাড়ির নতুন মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দুইজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,দেলোয়ার হোসেন স্থানীয় লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফজলুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা মামলায় কয়েক দিন আগে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পায়। বুধবার সকালে সে একটি চাকু নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানের ওপর হামলা চালায় ।

হাসপাতালে ফজলুর রহমানকে দেখতে আসা যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে দেলোয়ার হোসেনের ওপর হামলা করে। এতে বাধা দিলে উপস্থিত পুলিশের উপরও হামলা করে তারা। এতে সদর থানার এসআই আবদুল আলীম,এএসআই গিয়াস উদ্দিন,পুলিশ সদস্য নয়ন ও মেহেদী হাসানসহ ৪ পুলিশ ,সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, জেলা যুবলীগ সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমানসহ ১০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে যুবলীগ নেতা মাহাবুবুর রহমান,রুপম হাওলাদার ও ইকবাল হোসেন সহ ১০ যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

এ দিকে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপু হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমিসহ ১০জন নেতাকর্মী আহত হয়। সামান্য ভূল বুঝাবুঝিতে নেতাকর্মীদের আটক করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন জানান, পূর্ব শত্রুতায় আওয়ামীলীগ নেতার ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ দেলোয়ার হোসেন। দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে গেলে পাল্টা হামলার স্বীকার হয় পুলিশ। এতে ৪ পুলিশ আহত হয়। হাসপাতাল ও শহরের বিভিন্নস স্থানে অভিযোন চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে হাসপাতাল ও শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

পিবিএ/ইএইচকে

আরও পড়ুন...