
রাজন্য রুহানি,জামালপুর: জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীদের হামলায় বিএনপি নেতা মো. সাইফুল ইসলাম ও সোহেল রানা আহত হবার ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ। হামলায় ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা করেছেন আহত ওই বিএনপি নেতা। এ মামলায় প্রধান আসামি আনোয়ার জেলহাজতে রয়েছেন। মানববন্ধন থেকে বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে।
আহত মো. সাইফুল ইসলাম সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রানাগাছা এলাকার মৃত কাশেম উদ্দিনের ছেলে। অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন ওই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং মহেষপুর কালিবাড়ী এলাকার মো। আজিজুল হকের ছেলে।
মামলায় ৪ জন নামীয় ও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। প্রধাম আসামি ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, মহেশপুর কালিবাড়ি এলাকার মৃত শরিফ উদ্দিনের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান (৩৬), রুস্তম আলী মাস্টারের ছেলে মো. রোমান হোসেন (২৫) ও মোঃ অন্তর মিয়া (২৩)।
অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে রানাগাছা রেলগেট থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। প্রধাম সড়ক প্রদক্ষিণ করে মহেষপুর কালিবাড়ী বাজারে গিয়ে শেষ হয় মিছিলটি। পরে সেখানে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম শফি, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নবাব হোসেন জুয়েল, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এমদাদুল হক সুমন, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি রিজভী আহমেদ জুয়েল, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক মোজা, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৫ এপ্রিল মহেশপুর কালিবাড়ি বাজারে সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও বিএনপি নেতা সোহেল রানার ওপর অতর্কিত হামলা করে আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীরা। হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ওই সন্ত্রাসী বাহিনী এলোপাতাড়ি মারধর করে বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলামের ডান পা ভেঙে থেঁতলে দেয়। এতে তিনি মারাত্মক আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে তিনি বাদী হয়ে চলতি মাসের ২১ তারিখে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় জামিন নিতে গেলে প্রধান আসামি আনোয়ারের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠান আদালত।
বক্তারা আরও বলেন, আনোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগের একজন স্থানীয় সন্ত্রাসী। এলাকায় হেন অপকর্ম নেই যা সে করেনি। চাঁদাবাজি, মাদক ও নারী ব্যবসা ছিল তার মূল পেশা। দলীয় প্রভাব ভাঙিয়ে বাজার দখল ও বিদ্যুৎ বিভাগে অবৈধ কাজ করতেন। হামলার ঘটনার পর মামলা হলেও এখনও তার সহযোগী ও আত্মীয়স্বজনরা বাদীকে হুমকি দিচ্ছে। অবিলম্বে আমরা বাকি আসামিদের গ্রেফতার দেখতে চাই। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করুন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাবার হুশিয়ারি দেন তারা।