আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাদের ঘরে ঘরে এখন ব্যাংক, টাকশাল: রিজভী

রিজভী আহমেদ: ফাইল ছবি

পিবিএ,ঢাকা:বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো সব দেউলিয়া করে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাদের ঘরে ঘরে এখন ব্যাংক, টাকশাল বানিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাবগুলো দখল করে আওয়ামী লীগের রাঘববোয়াল এমপি-মন্ত্রীরা ক্যাসিনো ক্লাবে পরিণত করেছেন এসব জুয়ার ক্লাব থেকে আয়ের একটি অংশ নানা হাত ঘুরে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে চলে যায় বলে দাবি করেন তিনি।

‘বিদেশে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করছেন, পাচারের পর উদ্বৃত্ত টাকা থেকে যাচ্ছে ঘরে। দেশটাই দেউলিয়া করে দিচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পিতার আক্ষেপের সেই ‘চাটার দল’।’

তিনি বলেন, সরকারি দলের অঙ্গসংগঠনের চুনোপুঁটি নেতারা আঙুল ফুলে একেকটা বটগাছ হয়ে গেছেন। ক্ষমতাসীন যুবলীগের নেতারা ঢাকায় চালাচ্ছে ৬০টি ক্যাসিনো, ঢাকার বাইরেও রয়েছে আরও অসংখ্য ক্যাসিনো। রিজভী বলেন, এসব ক্যাসিনোতে প্রতিরাতে শত শত কোটি টাকা উড়ছে জুয়ার টেবিলে। মাদকের ব্যবসা চলছে দেদারছে। এর পাশাপাশি অবৈধ নাইটক্লাব, পানশালা, বাগানবাড়ি- এমনকি তাদের ঘরে ঘরে জুয়া ও মাদকের আসর বসছে।

আওয়ামী লীগ-যুবলীগের দুর্নীতি, লুটপাট, অবৈধ অস্ত্র, সন্ত্রাস, টর্চার সেল, নির্যাতন, দখল, চাঁদাবাজি, ক্যাসিনোসহ গুরুতর সব অপরাধের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসার কারণে ওবায়দুল কাদের, মাহবুবউল আলম হানিফ আর হাছান মাহমুদ সাহেবরা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী একেকটি স্পটে প্রতিদিন গড়ে ২-৩ কোটি টাকার জুয়া খেলা হয়। সে হিসাবে রাজধানীর জুয়ার স্পটগুলোতে দৈনিক ৩০০ কোটি টাকা উড়ছে।

‘এ টাকার একটি বড় অংশ হুন্ডির মাধ্যমে চলে যায় বিদেশে। এ ছাড়া পাড়ায় পাড়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা টর্চার সেল তৈরি করে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের ধরে নিয়ে আদায় করেন মোটা অঙ্কের টাকা।’

রিজভী বলেন, আজ আওয়ামী লীগ তাদের ‘৭৪-এর বাকশালের চেয়েও লুটপাট, দুর্নীতি অপকর্মের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আপনারা দেখেছেন, যুবলীগের ছোট নেতা জিকে শামীমের অর্থ দিয়ে জোগান দেয়া যায় বাণিজ্যিক ব্যাংকের অর্ধেক মূলধন। ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ঈদ সালামির দাবি যদি ৮৬ কোটি টাকা হয়!

‘যুবলীগের শামীমের অফিস থেকে যদি প্রায় দুশত কোটি টাকা নগদ এবং এফডিআর পাওয়া যায়, তা হলে ‘বড় লীগদের’ অবস্থা কি হতে পারে ভাবা যায়?’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, ‘আটক হওয়া জিকে শামীম যুবলীগের কেউ নয়।’ পরে দেখা গেল খোদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শামীমের ছবি। সুতরাং শাক দিয়ে কি মাছ ঢাকা যাবে?

পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...