পিবিএ ডেস্ক: কলকাতার এক বহুতল ভবনে একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের দপ্তরে কর গোয়েন্দাদের হানার পর ওই ভবন থেকে রাশি রাশি টাকার বান্ডিল নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিকালে নগরীর কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক এলাকা বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে এ ঘটনা ঘটে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
ওই সময় ভবনটির ষষ্ঠ তলায় ওই দপ্তরটিতে তল্লাশি চালাচ্ছিল ভারতের ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের (ডিআরআই) কর্মকর্তারা, জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ওই ভবনের সীমানার মধ্যেই টাকার বান্ডিলগুলো পড়তে থাকে। তা দেখে ওই ভবনের নিরাপত্তা রক্ষীরা মেইন গেইট বন্ধ করে দিয়ে টাকার বান্ডিল কুড়ানো শুরু করেন।
এ সময় গেইটের অপরপাশে রাস্তায় ভিড় জমে যায়। ভিতরে ঢুকতে না পেরে ভিড়ে থাকা লোকজন মোবাইলে এ দৃশ্যের ছবি তুলে ও ভিডিও করতে থাকে।
উপর থেকে ফেলা বান্ডিলগুলোতে কড়কড়ে দুই হাজার, ৫০০ ও ১০০ রুপির নোট ছিল বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এ ঘটনার খবর শুনে সেখানে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ এসে হাজির হয় বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার। তারা ওই ভবনের চারপাশে পাহারা বসিয়ে দেয়।
গণমাধ্যমে আসা এ ঘটনার কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, উপর থেকে ফেলা কয়েকটি বান্ডিল ভবনের একটি কার্নিসে আটকা পরে গেছে, একটি খোলা জানালা দিয়ে ঝাড়ুর সাহায্যে বান্ডিলগুলো নিচে ফেলা হচ্ছে।
ডিআরআইয়ের কয়েকটি সূত্র বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে তাদের কর্মকর্তারা ওই ভবনের ষষ্ঠ তলায় একটি আমদানি-রপ্তানিকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়েছিলেন। পরে সেখানে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
পুলিশের সাহায্যে ভবনটির নিচ থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন লাখ ৭৪ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার। তবে এই টাকার মালিক কে, তা রাত পর্যন্ত জানা যায়নি বলে জানিয়েছে তারা। গভীর রাত পর্যন্ত ওই দপ্তরে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত ছিল।
নিচে ফেলে দেওয়া টাকার সঙ্গে তল্লাশি অভিযানের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, তা পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
টাকা ফেলে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
#WATCH Bundles of currency notes were thrown from a building at Bentinck Street in Kolkata during a search at office of Hoque Merchantile Pvt Ltd by DRI officials earlier today. pic.twitter.com/m5PLEqzVwS
— ANI (@ANI) November 20, 2019
পিবিএ/এমআর