কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছে। আজও নতুন করে ৪১৮ জন সংক্রমিত হয়েছে। দেশে নিন্ম আয়ের মানুষের সংখ্যাও কয়েক কোটি । প্রায় ৫০ লাখ রয়েছে পোশাক শ্রমিক। চেয়ে চিন্তে আর ত্রাণে ক’দিন আর টেকা যায়। বসে খেলে দিন দিন ক্ষুধা আরো বাড়ে।
সুযোগ পেলেই তারা কাজের খোঁজে ঘরের বার হচ্ছে। এতে ভাইরাস সংক্রমণ আর বিস্তারের ঝুকি বাড়ছে।
সরকারি ও বেসরকারিভাবে ওইসব নিন্ম আয়ের মানুষদের সহায়তার চেষ্টা হচ্ছে । তবে বেশীদিন তা হয়ত সম্ভব হবে না। যে কারনে পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত যোক্তিক বলেই মনে করছি।
এমতাবস্থায় পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত সঠিক বলেই মনে করছি, কারন এমনিতেই শ্রমিকরা ঘরে থাকছে না। তার চেয়ে বরং কারখানা চার দেয়ালের ভিতর সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে রাখতে পারলে সংক্রমণ ও বিস্তার ঝুকি কম হবে।
তবে এটাও মনে রাখতে হবে, কারখানার শ্রমিকরা বাংলাদেশের অর্থনীতির সবথেকে বড় চালিকা শক্তি। এদের প্রতি অবহেলার সুযোগ নেই। শ্রমিকের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কারখানা মালিকেদের এই বিষয়ে সর্তক ও সচেতন থাকতে হবে।
এক্ষেত্রে কারখানা গুলোতে একটি বিশেষ টিম গঠন করা যেতে পারে। যাদের কাজ হবে প্রতি লাইনে শ্রমিকদের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা। যাতে তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে পারে।
তারপরও একটি বিষয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতেই হবে। মানুষের জীবন। সর্ব সাধারণের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তবেই প্রতিটি পদক্ষেপ এগুতে হবে।