আখাউড়ায় তীব্র তাপদাহ অতিষ্ঠ জনজীবন

পিবিএ,আখাউড়া,(ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তীব্র তাপদাহে অতষ্ঠি হয়ে উঠেছে এখানকার জনজীবন। বেশ কয়েকদিন ধরে সকাল থেকেই সূর্যের প্রচন্ড তাপে প্রকৃতি হয়ে উঠেছে রুক্ষ। সেই সাথে রোদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। সূর্যের প্রখর তাপে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ এক প্রকার যেন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ঘর থেকে বের হলেই গরম বাতাস বিধছে আগুনের হুংকারের মতো। শহর থেকে গ্রাম কোথাও যেন স্বস্তি নেই। সামান্য স্বস্তির জন্য ছুটে চলেছেন গাছের ছায়া তলে। গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণীকুলও।

তীব্র তাপদাহ অতিষ্ঠ জনজীবন
তীব্র তাপদাহ অতিষ্ঠ জনজীবন

এদিকে গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সর্দি,কাশি, জ্বর,ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত লোকজন। সব মিলিয়ে সাধারন মানুষ দু:সহ অবস্থানের মধ্যে রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়,খেটে খাওয়া লোকজন প্রচন্ড গরমে নাভিশ্বাস হয়ে উঠে। আকাশে নেই ছিটে ফোটা মেঘের চিহ্ন। প্রচন্ড রোদে প্রতিদিন তাপদাহ বাড়ায় মাটি ফেটে চৌচার হয়ে যাচ্ছে। এক পশলা বৃষ্টির জন্য চাতকের মতো গভীর প্রতিক্ষায় রয়েছেন লোকজন। তাছাড়া বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খাল, বিল ,নদী,নালা শুকিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা মনিয়ন্দ এলাকর মো: আফজাল হোসেন বলেন, তীব্র তাপদাহে ঘর থেকে বের হওয়া খুবই কষ্টকর। গরমের অসহনীয়তার জন্য রাতে ঘুমাতে কষ্ট হয়। পৌর শহরের তারাগন এলাকার আবুল কাশেম বলেন, এত অসহ্য গরম আমি আর কখনও দেখিনি। গরমে কোন কাজকর্ম করতে পারছিনা।

সিএনজি চালক মো. চেরাগ আলী বলেন,রোদের তীব্রতা ও অতিরিক্ত গরম থাকায় গত ৪দিন ধরে গাড়ি চালাতে পারছিনা। আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রাশেদুর রহমান বলেন,তীব্র গরমে সর্দি,কাশি, জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে লোকজন আক্রান্ত হচ্ছে। যতটুকু সম্ভব তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। খাবার স্যালাইন, প্রচুর পরিমান বিশুদ্ধ পানিএবং যতটুকু সম্ভব ঠান্ডা স্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

পিবিএ/কেএমআই/আরআই

আরও পড়ুন...