আখাউড়ায় ধান কাটা শুরু, দাম ভাল না থাকায় হতাশ কৃষক

পিবিএ,আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকরা প্রাণভরে ধান কেটে মাড়াই কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। সেই সাথে কৃষানীরাও বসে নেই , তারাও মনের আনন্দে ধান শুকিয়ে গোলাই তুলার কাজে সাহায্য করছেন। স্থানীয় কৃষকরা জানায় এ উপজেলার সর্বত্র বর্তমানে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে।

ধান

ইতিমধ্যে ধান কাটার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে কাজের শ্রমিক এলাকায় আসতে শুরু করেছে। এদিকে স্থানীয় বাজারে ধানের দাম ভাল না থাকায় কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়,ইরি বোরো মৌসূমে পৌর শহরসহ উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।

মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া ও প্রকৃতি ধান চাষের অনুকুলে থাকায় মাঠে তেমন কোন রোগ বালাইয়ের আক্রমণ দেখা যায়নি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ মৌসূমে ফলন ভাল হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌর শহরের তারাগন,দেবগ্রাম, খরমপুর, দূর্গাপুরসহ উপজেলার মোগড়া, মনিয়ন্দ, ধরখার এলাকায় গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় কৃষকরা ধান কাটছেন। কৃষকরা এখন ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এ মৌসুমে উপজেলায় বি-আর ২৮, বি-আর ২৯, হীরা জাগরনীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ধান চাষ করে কৃষকরা। তবে ধানের ফলন ভাল হলেও দাম না থাকায় কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। কারন বর্তমান বাজারে ধানের যে দাম এ অবস্থা থাকলে হয়তো তাদের লোকসান গুনতে হবে বলে জানান।

পৌর শহরের তারাগন গ্রামের কৃষক মো: কুদ্দুস মিয়া বলেন,এ মৌসূমে ১০বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। ফলনও ভাল হয়েছে। স্থানীয় বাজারে ধানের দাম কম থাকায় উৎপাদন খরচই উঠবেনা বলে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন। দেব গ্রামের মো: সিরাজ মিয়া জানান, আমন ধান ১৫ বিঘা জমিতে চাষ করা হয়েছে। বেশী ভাগ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। বিঘা প্রতি ১৬-১৮ মন ধান হয়েছে। বাজারে ধানের ভালদাম না থাকায় তিনি হতাশ।

দক্ষিণ ইউনিয়নের কৃষক মো.তাজুল ইসলাম বলেন এ মৌসুমে ৮বিঘা বি-আর ২৮, বি-আর ২৯, ধান আবাদ করা হয়। ইতিমধ্যে জমিতে ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধানের ফলন ভাল হয়েছে বলে জানায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্ত মো: মো.একরাম হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকুল ও পরিচর্যার কারনে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ইরি- বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। পৌর শহরসহ উপজেলার সর্বত্রই পুরুদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধানের ফলন ভাল করতে সার্বিক ভাবে স্থানীয় কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পিবিএ/কেএমআই/আরআই

আরও পড়ুন...