আগাছা নাশক বিষ স্প্রে করে করলাক্ষেত নষ্ট

পিবিএ,কালাই,জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের কালাইয়ে বর্গাচাষী মোকাব্বর সিগদারের ৪০শতক জমির রোপনকৃত হাই-ব্রিড জাতের করলাক্ষেতে কেবা কারা আগাছা নাশক বিষ স্প্রে করে নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই বর্গাচাষীর সেই ৪০শতক জমির ফসল তার সারা বছরের একমাত্র আয়ের উৎস ছিলো। বর্তমান ফসল হারানো ওই নিরীহ পরিবারের সদস্যরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।


সরেজমিনে জানা গেছে, কালাই উপজেলার কুশুমশাড়া গ্রামের মৃত তোমেজ উদ্দিনের ছেলে বর্গাচাষী মোকাব্বর সিগদার। তার এক স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে তার অভাবি সংসার। বর্তমান দুই সন্তানের বিয়ে হয়ে তারা ভিন্ন ভাবে বসবাস করছেন। এখনো তার সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী। মোকাব্বর সিগদার অন্যের বাড়িতে সারা বছরে কাজ করে খেয়ে না খেয়ে যে আয় করেন তা দিয়ে তার গ্রামের অন্যের কাছ থেকে ৪০শতক জমি বর্গা নিয়েছেন। সেই জমিতে এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে হাই-ব্রিড জাতের করলার গাছরোপন করেছেন। সেই রোপরকৃত করলাগুলো ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে ৪মণ করলা বিক্রি করে তিনি ভালো টাকাও পেয়েছেন। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে করলাক্ষেতে গিয়ে তিনি দেখেন কে-বা কাহারা আগাছা নাশক বিষ ছিটিয়ে তার ৪০শতক জমির রোপনকৃত হাই-ব্রিড জাতের করলাক্ষেত নষ্ট করেছে। এতে করে তার প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তার ৪০শতক জমির রোপনকৃত করলাগুলো নষ্ট হওয়ায় তিনি এখন দিশেহারা ।
ক্ষতিগ্রস্ত বর্গাচাষী মোকাব্বর সিগদার বলেন, অন্যের কাছ থেকে ৪০শতক জমি বর্গা নিয়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করে হাই-ব্রিড জাতের করলার গাছরোপন করেছি। সেই রোপরকৃত করলাগাছগুলো এবং ফলনও অনেক ভালো হয়েছিলো। ইতোপুর্বে ৮শ টাকা দরে প্রায় সাড়ে ৪মণ করলা বিক্রি করে ভালো টাকাও পেয়েছি। বর্তমার এই বাজারে সব করলাগুলো বিক্রি করতে পারলে প্রায় ১লাক্ষ ৩০হাজার টাকা লাভ করতে পারতাম। কিন্তু কে-বা কাহারা আমার করলাক্ষেত আগাছা নাশক বিষ ছিটিয়ে সব করলাগাছগুলো নষ্ট করে দিয়ে আমার সর্বনাশ করেছে। বর্তমান সবমিলিয়ে আমার ক্ষতি হবে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।
প্রতিবেশী হরিদাস বলেন, মোকাব্বর সিগদার খেয়ে না খেয়ে ৪০শতক জমি বর্গা নিয়েছে। এই জমি তাদের সংসারের একমাত্র আয়ের উৎস। যারা এত বড় তাদের ক্ষতি করতে পারে তারা মানুষ নয়। তাদের শাস্তি হওয়া দর কার।
এই বিষয়ে উপজেলার কৃষি অফিসার মো. কামরুজ্জামান সঙ্গে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোক করা হলে তিনি বলেন, আমি মিটিংগে আছি। পরে আপনাকে মোবাইল ব্যাগ করে কথা বলবো।
কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ খান বলেন, এই বিষয়ে এখনো অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পিবিএ/এবিতি/হক

আরও পড়ুন...