পিবিএ ডেস্ক : কথায় বলে সব তীর্থ বারবার, গঙ্গা সাগর একবার। পৌষ সংক্রান্তিতে পূণ্য স্নানের জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও এসেছেন অসংখ্য মানুষ। জেলা প্রশাসনের সূত্রে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গতকাল রোববার রাত পর্যন্ত সাগরে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ এসেছেন। পূণ্য স্নান আগামীকাল মঙ্গলবার। তার আগে সংখ্যাটা ২০ লাখ ছাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এত মানুষের ভিড় সামাল দিতে সমস্ত রকমের ব্যবস্থা করেছ প্রশাসন। কলকাতার বাবুঘাট হয়ে তীর্থযাত্রীরা মেলার দিকে যাচ্ছেন। সেখানেও আছে পুলিশি ব্যবস্থা। তাছাড়া দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার কচুবেড়িয়া হয়ে সাগরে যাওয়ার রাস্তাতেও থাকছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। তাছাড়া মেলা চত্বরে থাকছে ৮০০ টি সিসি টিভি এবং ২০০ টি ড্রোন ক্যামেরা।
মেলার প্রস্তুতিতে যাতে কোনও ফাঁক না থেকে যায় তার জন্য রাজ্যের ১০ জন মন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেলা শুরুর আগে মমতা নিজেও গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। তাছাড়া কলকাতাতে বসেও গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বেশ কয়েকদিন ধরে ওখানেই রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এলাহাবাদের কুম্ভ মেলার থেকে এই গঙ্গা সাগরে আসতে মানুষের আগ্রহ বেশি। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার বৈষম্য করছে। আর্থিকভাবে আমরা কুম্ভ মেলার মতো সাহায্য পাচ্ছি না।’ অন্যদিকে তিনিও মনে করেন সোমবার রাতের মধ্যেই ২০ লাখ মানুষ চলে আসবেন সাগরে।
স্নানের সময়ও যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য ডুবুরি থেকে শুরু করে অসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীকে তৈরি রেখেছে প্রশাসন।
সব মিলিয়ে সাগরজুড়ে শুরু হয়েছে অপেক্ষা। সকলের মনেই প্রশ্ন কখন আসবে পূণ্য স্নানের সময়? স্নান সেরে কখন যাওয়া যাবে কপিলমুনির আশ্রমে?
পিবিএ/জিজি