বিএনপি জামায়াতসহ সমমনা দলের ডাকা অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আগুনের ঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা বলে হুশিয়ার উচ্চারণ করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে বিএনপি ও সমমনা দলের ডাকা অবরোধে সৃষ্ট নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্থদের দেখতে এসে এসব কথা জানান।
এসময় আহত ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থীক সহায়তার আশ্বাস দেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, অবরোধের নামে নাশকতার চেষ্টা করেছে বিরোধী দলগুলো। তারা যানবাহনে আগুন দিয়েছে। সেই সকল যানবাহনে যারা যাত্রী ছিলেন তারাসহ গাড়ির চালক, সহকারী ছিলো তাদের নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। নাঈম নামের একজন একজন বাসের চালকের সহকারীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং তার সঙ্গে একজনসহ আরও অনেকেই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে।
হাবিবুর রহমান বলেন, নৃশংসতা ও রাজনীতি এক নয়। কিন্তু তারপরও এগুলো আমরা দেখছি। রাজনীতির নামে তারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আহতদের পুলিশের পক্ষ থেকে দেখতে এ এসেছি। সমবেদনা জানাতে এসেছি৷
আহতদের পরিবার, বাস মালিক, মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ নৃশংসতা যারা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সকল প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত ঢাকা সিটিতে ৮২ টি স্থানে অগ্নি সংযোগের ঘটনা তারা ঘটিয়েছে। ইতোমধ্যে বাসে আগুন দেয়ার সময় হাতেনাতে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অগ্নি সংযোগের সঙ্গে জড়িত মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা এই কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক তাদের কাউকেই, কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।
কমিশনার আরও জানান, অবরোধের পুরো সময় ধরে দিন-রাত পুলিশ রাস্তায় দায়িত্ব পালন করছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করছে। বাসের মালিক – শ্রমিকরা আমাদের সঙ্গে রয়েছে। স্থানীয় মানুষ আমাদের সহযোগিতা করছে। যেসব স্থানে হামলাগুলো হচ্ছে সেগুলো চোরাগোপ্তা হামলা। পার্কিং করা গাড়িতে হামলা করা হচ্ছে। এসকল হামলা বন্ধে পুলিশ কাজ করছে। এসকল সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করে আমরা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি। আমি মনে করি এদের রুখে দেওয়ার জন্য পুলিশের সঙ্গে জনসাধারনের এগিয়ে আসা উচিৎ। আমরা আরও সহযোগিতা আমরা চাই। সকলে মিলে এগিয়ে এলেই আমরা চোরাগোপ্তা হামলাসহ সকল নাশকতা থেকে সহজেই মুক্ত করতে পারব।