আগোত ছওয়া-পোয়া শুউদ্দা ভাঙ্গা ঘরোত থাইকছি, এ্যালা পাকা ঘরোত থাকি

পিবিএ,ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম): এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সকলের জন্য বাসস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মসূচীর আওতায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ৬৬টি গৃহহীন হতদরিদ্র ও অস্বচ্ছল পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন (টি.আর) ও গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচীর বিশেষ বরাদ্দ দ্বারা গ্রামীণ দরিদ্র গৃহহীন জনগোষ্ঠীর জন্য “দূর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ” প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষ যাদের ৮০০ বর্গফুট জায়গায় বা দুই শতাংশ জমি আছে তাদের জন্য রান্নাঘর ও টয়লেট সহ দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি সেমিপাকা টিনসেড গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি গৃহের জন্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা।

২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ৬৬টি গৃহ বরাদ্দ দেয়া হয়। যার মোট ব্যয় ১ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার ৭৬০ টাকা।
প্রকল্পের সুবিধাভোগী জয়মনিরহাট ইউনিয়নের ছোটখাটামারী গ্রামের বিপ্লব জানান, আমি একজন প্রতিবন্ধী, মাথা গোঁজার কোন ঠাঁই ছিল না।

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি ঘর পেয়েছি, আমি খুব খুশি। অপর সুবিধাভোগী তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিন ছাট গোপালপুর গ্রামের জাহানারা বলেন “আগোত ভাঙ্গা ঘরোত থাইকছোং, ঝড়ি পইড়লে ঘরোত পানি পইড়ছে। ইউএনও স্যার দেখি যায়া মোক এখান ঘর দিছে। এ্যলা মুঁই ছওয়া-পোয়া শুউদ্দা পাকা ঘরোত থাকোং (আগে ভাঙ্গা ঘরে থাকতাম, বৃষ্টি পড়লে ঘরে পানি পড়ত, ইউএনও স্যার দেখে গিয়ে আমাকে একটা ঘর দিয়েছে। এখন সন্তান-সন্তুতি সহ পাকা ঘরে থাকছি)।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম বলেন, ঘরের কাজ শেষের দিকে, রংয়ের কাজ কিছুটা বাকী আছে। যা দুই/একদিনের মধ্যে শেষ হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলাম জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা-দেশের কেউ গৃহহীন থাকবে না, সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হতদরিদ্রদের জন্য “দূর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ” করা হয়েছে। উপজেলার ৬৬টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দিতে পেরে আমাদের এক ধরনের ভালো লাগা অনুভব হচ্ছে, ঘর পেয়ে উপকার ভোগীরাও বেজায় খুশি।

পিবিএ/শামসুজ্জোহা সুজন/এসডি

আরও পড়ুন...