পিবিএ, ঢাকা : রাজধানী ঢাকায় আজ থেকে শুরু হচ্ছে অবৈধ ভবন সনাক্তরণ অভিযান।যারা ভবন নির্মাণ নীতিমালা অনুসরণ না করে এবং অগ্নিনিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না করেই বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধেই এই অভিযান শুরু হয়েছ।চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।
ঢাকার বনানীতে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ২৬জন মারা যাওয়ার প্রেক্ষিতে অপরিকল্পিত ও অবৈধ ভবন শনাক্তের এই অভিযান শুরু হয়েছে।
বনানীর অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, সেটি নকশা বর্হিভুতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে এবং সেখানে অগ্নি নির্বাপনের যথেষ্ট ব্যবস্থা ছিল না।
দমকল বিভাগ বলছে, ঢাকার বেশিরভাগ ভবনে অগ্নিনির্বাপনী ব্যবস্থা নেই।
এসব নিয়ম ভঙ্গকারীরা কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় এরকম কর্মকাণ্ড চালালেও তাদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার উদাহরণ বিরল।
বিশেষ করে রাজউক বা সিটি কর্পোরেশন, যাদের এসব ভবন নজরদারি করার দায়িত্ব, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে ভবন মালিকদের কাছ থেকে নানারকম সুবিধা নিয়ে তারাই এসব অনিয়মের প্রশ্রয় দেন।
বাংলাদেশের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল এরকম ক্ষেত্রে সেই রাজউক, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে কতটা কার্যকরভাবে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব?
সে প্রশ্নের উত্তরে মি. করিম জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুর্নীতি,অনিয়মের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
“দীর্ঘদিন জমে থাকা জঞ্জাল দূর করতে কিছুটা সময় লাগবে সেটা স্বাভাবিক।”
কী পদক্ষেপ নিবে মন্ত্রণালয়?
মি. করিম বলেন, “যারা দীর্ঘদিন ধরে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে নি, তাদের সামান্য সুযোগ দিয়ে অ্যাকশনে যেতে চাই।”
“বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন অ্যাক্ট বা বিল্ডিং কোড বা ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত যে সকল শর্তাবলী দেয়া হয়, সেগুলো যারা প্রতিপালন করেনি তাদের সময় দিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়া হবে।”
যারা এর মধ্যেও শর্তাবলী মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, বলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী।
ব্যবস্থা হিসেবে ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলা, ভবন বন্ধ করে দেয়া বা দোষীদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে বলে জানান মি. করিম।
যদি এজাতীয় অনিয়মের সাথে ডেভেলপার, মালিক কিংবা রাজউক বা আমার দপ্তরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকে তাকেও আলাদা কোনো ‘অনুকম্পা (সমবেদনা)’ দেখানো হবে না।
অবৈধভাবে নির্মিত ভবনের অনেকগুলোরই মালিক আর্থিক বা রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা কতটা সম্ভব হবে?
এমন প্রশ্নের জবাবে মি. করিম বলেন, দূর্নীতি বা অন্যায়ের আশ্রয় নেয়া ব্যক্তি যত প্রভাবশালীই হোক, তাকে ছাড় না দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে।
পিবিএ/এএইচ