পিবিএ, ডেস্ক: অসম্ভব সাড়া পাচ্ছি। ক্রিকেটের আগের আয়োজনগুলো থেকে ‘এক্সপার্ট প্রেডিকশন’ একটু ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। এতে সাবেক একজন অধিনায়কের পাশাপাশি ক্রীড়া প্রতিনিধিও থাকছেন। তাদের সঙ্গে বিশ্বকাপের খেলা নিয়ে যে আলোচনা হয়, তা অনেকের ভালো লাগে বলেও জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন, ক্রিকেট নিয়ে নানা ধরনের অনুষ্ঠান করেছি বলে তারা প্রতিটি আয়োজনে আমাকে দেখতে চান। ভক্তরা আমাকে ‘ক্রিকেটের মারিয়া’ খেতাবও দিয়েছেন। যখন দর্শক একে অন্যের কাছে এভাবে আমার পরিচয় তুলে ধরেন, তখনই কাজ সার্থক বলে মনে হয়।
নিজ দেশের বাইরে আর কোনো দল বা খেলোয়াড়ের খেলা ভালো লাগে কি?
নিজ দেশের প্রতিটি খেলোয়াড়ই প্রিয়। প্রতিপক্ষ যে দলই হোক, বাংলাদেশ জিতবে- এই আশা নিয়ে খেলা দেখি। কিন্তু উপস্থাপনার সময় বিষয়টি পুরোপুরি গোপন রাখি। উপস্থাপক মারিয়া কিন্তু নিরপেক্ষ, নির্দিষ্ট কোনো দলের সমর্থক নন। এ কথা বললে কি বিশ্বাস হবে? হোক না হোক- এটাই সত্যি। উপস্থাপনার সময় আমি পুরোপুরি নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করি। তবে এবারের চিত্রটা উল্টো। যখন নিজের দেশ খেলছে, তখন কোনোভাবেই নিরপেক্ষ থাকতে পারছি না। খেলা চলাকালে আমার উচ্ছ্বাস দেখেই বলা যায়, আমি কোন দল সমর্থন করি। শুধু নিজ দেশের যখন থাকে না, তখন অন্য কোনো দল সমর্থন করি। বাংলাদেশের বাইরে অস্ট্রেলিয়ার খেলা ভালো লাগে। শেন ওয়ার্ন, ব্রেট লির অসাধারণ বোলিং দেখেই এই দলের প্রতি ভালো লাগা। তবে দেশের খেলোয়াড়রা যেভাবে হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন, সেভাবে আর কেউ পারবে না।
আজ শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় নিয়ে আপনি কেমন আশাবাদী?
আমি নিশ্চিত, আজ ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। প্রতিটি খেলোয়াড় কামব্যাক করবে। যেটা বাংলাদেশের জন্য খুব দরকার। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আমরা জিততে জিততে হেরে গেলাম। কী দুর্ভাগ্য! আমরা রুবেলকে মিস করেছি। রুবেল থাকলে প্রত্যাশার পরিধি আরও বড় হতো। সবশেষে বলতে হয়, আমরা এর আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে জয়লাভ করেছি। তাই আমাদের মনোবল বেশি। মনোবল হারালে চলবে না। বাংলাদেশের সামনে অনেক সম্ভাবনা। অনেক দলই জানে বাংলাদেশ খুব শক্তিশালী। তারপরও তাদের বাংলাদেশকে মানতে কষ্ট হচ্ছে।
উপস্থাপনায় নিয়মিত দেখা গেলেও অভিনয়ে তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। এর কারণ কী?
আমি উপস্থাপক, অভিনেত্রী নই। উপস্থাপনার বাইরে অন্য কিছু করার কথা তেমন একটা ভাবি না। অনেকদিন পর গত বছরের ঈদে ‘দাম্পত্য’ একক নাটকে অভিনয় করেছি, নির্মাতার বিশেষ অনুরোধে। এমন নয় যে, অভিনয়ের প্রতি আমার কোনো ভালো লাগা নেই। ভালো লাগা আছে, তবে এর পেছনে সময় দিতে পারি না, চর্চাও নেই, এজন্য অভিনয় করা হয়ে ওঠে না।
শুনেছি নতুন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছেন?
হ্যাঁ, চ্যানেল আইয়ের জন্য নতুন একটি অনুষ্ঠান শুরু করতে যাচ্ছি। অবশ্য অনুষ্ঠানের নামটা এখনই বলতে চাই না। তবে এটুকু বলি, এ সময়ের অন্যান্য অনুষ্ঠান থেকে এটি সম্পূর্ণ আলাদা। নিয়মিত কাজের পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানের জন্য অনেকটা সময় দিতে হচ্ছে। সম্প্রতি ‘চ্যানেল আই হিরো’ উপস্থাপনা করেছি। ক’দিন পর এর প্রচার শুরু হবে।
পিবিএ/বিএইচ