আট মাসেও হাসপাতালে কেউ নিতে আসেনি নাহিদকে

nahid-DMC-PBA

পিবিএ,ঢাকা: ট্রেনে কাঁটা পড়ে গত আট মাস যাবৎ ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি নাহিদকে কেও নিতে আসেনি, এমনকি দেখতেও আসেনি।

মৌলভীবাজার দক্ষিণবাগ এলাকার হানিফ মিয়ার ছেলে মোঃ নাহিদ (১৩)। থাকতো আখাউরা রেলস্টেশনে। রাতে ট্রেনের ছাদে ঘুমিয়ে ছিলো নাহিদ। এমন সময় ট্রেনটি ঢাকার দিকে চলতে শুরু করে। একপর্যায়, কেও একজন তাকে ট্রেনের ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপরই সেই ট্রেনের চাকার নিচে কাঁটাপড়ে তার ডান পা ও বাম হাতের আঙুল। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।

গত ৮ মাস আগে গাজিপুরের টঙ্গীতে ঘটে এই ঘটনা। এরপর থেকেই সে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎধীন।

বুধবার(১৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে পিবিএ’র সাথে কথা হয় নাহিদের। নাহিদ পিবিএকে জানায়, দুই ভাইবোনের মধ্যে সে বড়। ছোটবোনের নাম নাহিদা (৮)। বাবা হানিফ মিয়া তেমন কিছু করেননা। মা সুমি আক্তার। তারা থাকেন স্টেশনেই। আখাউরা রেলস্টেশন এলাকায় একটি সিএনজি গ্যারেজে কাজ করতো নাহিদ।

বাড়ি ফেরার বিষয়ে নাহিদ বলে, “আমি আর বাড়িতে যামুনা। আমারে আর বাড়িতে নিবো না। আমার মা বলছে, ছেলের এক পা কাঁটা পইরা গেছে, ছেলেরে নিয়া কী করুম।” “একজন আমারে বলছে, তিনি আমারে সেন্টারে (শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র) নিয়া যাইবো। আমি সেখানেই যামু।”

ওয়ার্ডের আয়া মোমেনা খাতুন পিবিএকে বলেন, ছেলেটা অনেক মাস ধরে হাসপাতালে আছে। কেউ নিতেও আসেনি। দেখতেও আসেনা। অন্য রোগীরা যা দেয় তাই খায়। হাসপাতালেই থাকে সে। অনেকের কাজও করে দেয় সে।

ওয়ার্ডের এক কর্তব্যরত চিকিৎসক পিবিএকে বলেন, নাহিদ এখন পুরোপুরি সুস্থ্য। অনেক দিন আগেই ওকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তবে সে এখনও হাসপাতালেই আছে। ক্রেস্ট দিয়ে সে ভালোভাবেই চলাফেরা করতে পারে।

পিবিএ/এইচএ/এফএস

 

আরও পড়ুন...