মুমিন ব্যক্তি কখনো আতঙ্কিত হয়না। সে সর্বদা মহান আল্লাহর ফয়সালা ও সিদ্ধান্তের ওপর সমর্পিত থাকে। বিশেষ করে বান্দা যখন আল্লাহ তায়ালার হুকুম মেনে চলে তবে তার জীবন হয় চিন্তামুক্ত। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘জেনে রাখো, আল্লাহর বন্ধুদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। (সুরা ইউনুস :৬২)
আতঙ্ক এক মহাব্যাধি। অনেক সময় আতঙ্কের কারণে অনেকেই মারা যায়। ভয়াবহ রোগ-ব্যাধি, দুঃসংবাদ, ভয় কিংবা দুঃখ-হতাশাজনক ঘটনায় অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কেউ কোনো বিষয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়লে কী করবেন? এ সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনা ও করণীয় কী?
যে কোনো সময় যে কোনো কারণে মানুষ আতঙ্কিত হতে পারে। কোনো কারণে আতঙ্কিত হলে হাদিসের অনুসরণে আমল করা জরুরি। আতঙ্কিত হলে করণীয় কী হবে- এ সম্পর্কে হাদিসের পাকে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
উন্মুল মুমিনিন হজরত যাইনাব বিনতে জাহ্শ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূলুল্লাহ (সা.) একদিন আতঙ্কিত অবস্থায় বের হলেন। (আতঙ্কে) তার পবিত্র চেহারা লাল হয়ে গিয়েছিল। তখন তিনি বলছিলেন-
لَا اِلَهَ اِلَّا الله
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’
অর্থ : ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো সার্বভৌম সত্তা নেই।’
ধ্বংস আরবদের জন্য! একটি অনিষ্ট কাছাকাছি এসে গিয়েছে; আজ ইয়াজুজ-মাজুজেরর দেয়াল এটুকু খুলে দেওয়া হয়েছ।’ (এ কথা বলার সময়) রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও পাশ্ববর্তী আঙুল দিয়ে একটি বৃত্ত বানিয়ে দেখান।
তখন আমি বলি, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে ভালো মানুষজন থাকা সত্ত্বেও আমরা ধ্বংস হয়ে যাব? রাসূলুল্লাহ (সা.) তখন বললেন, ‘যখন আবর্জনা (অবৈধ যৌনাচার ও পাপাচার) বেড়ে যাবে।’ (বুখারি)
সুতরাং আতঙ্ক থেকে বাঁচতে করণীয় হলো-
যে কোনো আতঙ্ক দেখা দিলে তা থেকে বাঁচতে তাওহিদের কালেমা বেশি বেশি পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা দেওয়া। অবৈধ যৌনাচার ও পাপাচার থেকে বিরত থাকা।
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে যে কোনো বিপদাপদ ও আতঙ্ক থেকে বাঁচতে হাদিসের ওপর আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।