আত্মগোপনে ইউপি চেয়ারম্যান, ব্যাহত নাগরিক সেবা

রাজন্য রুহানি,জামালপুর: শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর আত্মগোপনে রয়েছেন জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান উদ্দিন বাদল। এতে নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সেবাগ্রহীতারা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ভাটারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান উদ্দিন বাদল গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। একই কারণে আসেন না ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও ইউপি সদস্যরাও। এতে জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যুর সনদ, নাগরিক সনদ ও ট্রেড লাইসেন্সসহ সব ধরনের সেবা পাচ্ছেন না ওই ইউনিয়নের নাগরিকরা।

সরেজমিনে বুধবার (২১ আগস্ট) সকালের দিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলছে। পরিষদে নেই চেয়ারম্যান। সেই সাথে অনুপস্থিত ওই পরিষদের সচিব। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেও দেখা মেলেনি ইউপি সদস্যদের। অনেক সেবাগ্রহীতারা এসে তাদেরকে না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। তারা দ্রুত এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ সময় কথা হয় ২ নম্বর ওয়ার্ডের পারপাড়া গ্রামের তারা মিয়া, শাহজাহান আকন্দের সাথে। তারা বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে নাতির জন্ম নিবন্ধন নেওয়ার জন্য পরিষদে ঘুরছি। চেয়ারম্যান-মেম্বার, সচিব কাউকে পাচ্ছি না। জরুরি প্রয়োজন থাকলেও কোন কাজ হচ্ছে না। বিষয়গুলো বিবেচনা করে সাধারণ নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন এমনই দাবি তাদের।

ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে কথা হয় অপু ও আনিসুর রহমানের সাথে। তারা বলেন, নাগরিকত্বের সনদ নেওয়ার জন্য গত কয়েকদিন ধরে পরিষদে ঘুরছি। চেয়ারম্যান-মেম্বার ও সচিব কাউকে পাইনি। জানি না কতদিন আমাদের এভাবে ভোগান্তি পোহাতে হবে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. মফিজ দুলালের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, গত ৫ তারিখের পর পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা ইউনিয়ন পরিষদে আসেন না। চেয়ারম্যান না থাকায় নাগরিকদের সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। আমি দুই-একদিন ইউনিয়ন পরিষদে গেলেও একা নিরাপত্তাহীনতায় থাকি। তাই আজ পরিষদে যাইনি।

এ বিষয়ে কথা বলতে ভাটার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদলের মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান বলেন, ‘নতুন পরিপত্র অনুযায়ী যদি দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ যদি রিপোর্ট পাঠায় তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন...