নানা কর্মসুচির মধ্য দিয়ে রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। রবিবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০ টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
পরে কলেজের ইব্রাহিম লেকচার থিয়েটারে স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাহমুদা হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজসমূহের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আব্দুস সবুর।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হারুন অর রশিদ, আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. আফিকুর রহমান, ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হোসেন মুন্সী, আদ্-দ্বীন হাসপাতালসমূহের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন প্রমূখ। এসময় মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ’৭১ এর সকল যোদ্ধাদের অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আব্দুস সবুর বলেন, স্বাধীনতা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের। তবে এর পেছনে একটি করুণ কাহিনী আছে। আমাদেরকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। বহু ত্যাগ, তিতিক্ষা ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। সেই স্বাধীনতার ধারক হিসেবে নতুন প্রজন্মকে সুনাগরিক হয়ে দেশকে ভালবেসে নিঃস্বার্থভাবে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।
আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হারুন অর রশিদ বলেন, স্বাধীনতা আমাদের জন্য একটি গৌরবের দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়া। সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। আর এই সোনার মানুষ হল দেশপ্রেমিক মানুষ, সৎ মানুষ ও দ্বায়িত্বশীল মানুষ। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে সোনার মানুষ গড়ে উঠুক।
আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আফিকুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিচারণ মূলক ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাহমুদা হাসান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হলে তোমরা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে যুদ্ধের গল্প শুনবে।তাদের অনুভূতিগুলো উপলব্ধি করবে।তোমরা স্বাধীনতার ইতিহাস বহন করে পরবর্তী প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাবে। তাই এই বিশেষ দিনটিতে আমাদের অঙ্গীকার হোক একটি সুখী সমৃদ্ধ স্বপ্নীল বাংলাদেশের।
আলোচনা সভা শেষে আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ছাত্রীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।