সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে গেছে। এতে দেখা যাচ্ছে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা। লেনদেনে বেশ ধীরগতি রয়েছে।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মাত্র ১৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। আর লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি টাকার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে সূচক নিম্নমুখী রয়েছে। সেই সঙ্গে এ বাজারটিতেও লেনদেনে দেখা যাচ্ছে ধীরগতি। পাশাপাশি দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এদিন লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রথম ২০ মিনিট অব্যাহত থাকে। এতে লেনদেনের ২০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
এরপর লেনদেনে অংশ নেওয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমতে থাকে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বড় হতে থাকে দরপতনের তালিকা। ফলে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৪২ মিনিটে ডিএসইতে ৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৭টির। আর ৭৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে দশমিক শূন্য ৬৮ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৫৮ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৩৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১টির, কমেছে ১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির।
এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। এতে সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি কমে লেনদেনের পরিমাণ। সেই সঙ্গে কমে বাজার মূলধন।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ৩ হাজার ২০২ কোটি টাকা।
অপরদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমে ৩৭ দশমিক ১০ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৯ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত কমে ১১ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৫০ শতাংশ। ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমে ৫ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৮ শতাংশ।
সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয় ৪২২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। তার আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬৪৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমে ২২৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা বা ৩৪ দশমিক ৯১ শতাংশ।