পিবিএ, ঢাকা : পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল বিভাগের একটি টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলাম এর ০৫ (পাঁচ) জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হল- মোঃ নিজাম উদ্দিন, মোঃ রায়হান ভুইয়া, মোঃ হানিফ উদ্দিন সুমন, শেখ ইফতেখারুল ইসলাম ওরফে আরিফ ও মুফতি মুসলিম উদ্দিন ওরফে মুসলিম। গত ০৯/০২/২০২০ তারিখ রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন বালুর মাঠ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের নিকট হতে ০৩ টি চাপাতি, ০৩ টি ব্যাগ ও ০৪ টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১.৩০টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ ইলিয়াছ শরীফ বিপিএম-বার, পিপিএম।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে সিটিটিসি’র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেফতারকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল-ইসলাম এর আদর্শের অনুসারী। তারা উক্ত সংগঠনের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নাশকতামূলক কর্মকান্ড সম্পাদনের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা হতে উল্লেখিত স্থানে একত্রিত হয়।
সংগঠনের দাওয়াতী শাখার প্রধান নাজমুল ওরফে উসমান গনি ওরফে আবু আইয়ুব আল আনসারী এর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেসেঞ্জার চ্যাট গ্রুপ ও অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতরা আনসার আল-ইসলাম সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য দাওয়াত প্রাপ্ত হয়। দাওয়াতে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা সংগঠনে যোগদান করে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টেলিগ্রাম, অনলাইন চ্যাট গ্রুপ ও ক্রিপ্টোকারেন্সীর মাধ্যমে যোগযোগ করে এবং সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করত বলে জানায়।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি আনসার আল-ইসলামের নেতা আবু কায়সার ওরফে রনি’র নির্দেশে এই গ্রুপের সদস্যগণ ইসকন মন্দির ও ইসকনের অন্যান্য স্থাপনায় হামলা পরিকল্পনা করেছিল। এ সংক্রান্তে ইতোপূর্বে আনসার আল-ইসলাম এর তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের সংগঠনের দাওয়াত প্রদানকারী নাজমুল ওরফে উসমান গনি ওরফে আবু আইয়ুব আল আনসারী ইতোপূর্বে জঙ্গিবাদ বিরোধী চলচ্চিত্র নির্মাণ করায় চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত খান’কে হত্যা প্রচেষ্টা ও পরিকল্পনায় সমন্বয় করে।
সে কুয়েতে থাকাকালীন টেলিগ্রামে ”এসো কাফেলা বদ্ধ হই” গ্রুপের মাধ্যমে এই হত্যা প্রচেষ্টার পরিকল্পনায় নেতৃত্ব প্রদান করে। এ সংক্রান্তে ২০১৮ সালে এই সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে উক্ত নাজমুল দেশে ফিরে এসে পুনরায় সংগঠনের সদস্যদের দ্বারা নাশকতামূলক কর্মকান্ড সংঘটনের জন্য কাজ করছে বলে জানা যায়। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ সংক্রান্তে সবুজবাগ থানায় গ্রেফতাকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
পিবিএ/জেডআই