পিবিএ ডেস্ক: আজ ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯৭৫ সাল থেকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এবারের নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বা স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে – প্রগতিকে দাও গতি।
নারীদের ওপর হওয়া বৈষম্য, নির্যাতনের বিরুদ্ধে করা প্রতিবাদে নারীদের জাগ্রত করাই নারী দিবস পালনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য । নারী দিবসের রঙ নির্ধারিত হয়েছে বেগুনি এবং সাদা, যা নারীর প্রতীক। বেগুনি রঙ নির্দেশ করে সুবিচার ও মর্যাদা, যা দৃঢ়ভাবে নারীর সমতায়ন।
১৯৮৩ সালে পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ লেখক এবং নারীবাদী অ্যালিস ওয়াকারের প্রশংসিত উপন্যাস ‘দ্য কালার পারপল’ বইটি এই রঙ নির্ধারণে অনুপ্রেরণা জোগায়। এ বইতে তিনি নারীদের অধিকারের কথা তুলে ধরেছেন । ধারণা করা হয়, সেখান থেকেই নারীবাদী আন্দোলনের সঙ্গে জুড়ে গেছে বেগুনি-সাদা রঙ।
এ নারী দিবস পালনের পটভূমি হচ্ছে এই দিনে আমেরিকায় ঘটে যাওয়া এক আন্দোলন। ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ নিউইয়র্কের সুতা কারখানায় কর্মরত নারীশ্রমিকরা সড়কে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন । সেদিন বেতন বৈষম্য, নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা আর কাজের বৈরি পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নারীরা একজোট হলে তাদের উপর কারখানা মালিকেরা আর মদদপুষ্ট প্রশাসন দমন-পীড়ন চালায়।
প্রায় অর্ধশতাব্দী পর ১৯০৮ সালে জার্মানীতে এ দিনটি স্মরণে প্রথম নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে প্রায় ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে অংশ নিয়েছিলেন।
এ সম্মেলনেই প্রথমবারের মত ক্লারা প্রতি বছরের ৮ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। এ প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে ১৯১৪ সাল থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ নারী দিবস পালিত হয়। বাংলাদেশে ১৯৭১ সাল থেকেই ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের আহবান করলে এরপর থেকে সারা বিশ্বব্যাপী দিনটি পালিত হয়ে আসছে। নারী দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পীকার ড.শিরিন শারমিন চৌধুরী এবং সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
পিবিএ/এফএস