আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: কুবিতে বিতর্ক প্রতিযোগিতা

হাসিন আরমান,কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের উদ্যোগে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সহায়তায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে “ভাষাদিবস আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫” এর উদ্বোধন করা হয়। আগামীকাল (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হবে প্রতিযোগিতাটি।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল কক্ষে পবিত্র কুরআন শরীফ ও গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ রায়। এছাড়া, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ আবদুল্লাহ আল মাহবুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ হায়দার আলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।

শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি সাদিয়া আরফিন বলেন, ‘ভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করা হয়েছে। কালকের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যারা অংশগ্রহণ করবে তারা এই অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে আপনাদের যে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও সহনশীলতা তা প্রদর্শনের মাধ্যমে ভাষার মাস হিসেবে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার যে জায়গা তা আরও বেশি সমৃদ্ধ করবেন। আপনাদের সৃজনশীলতা দিয়ে বাংলাদেশ আরও সামনে কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় তা আয়ত্ত করবেন। পুরো বিতর্কটিকে আরও উৎসবমুখর করার জন্য আপনাদের প্রত্যেকের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে এবং সকলের সহোযোগিতা কামনা করছি।’

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, ‘ছোটকাল থেকেই বিতর্ক আমার পছন্দের ছিল। বিতর্ক করলে চিন্তা করার দক্ষতা বাড়ে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টাও একজন বিতার্কিক। বিতর্কের এই গুণটি একটি বিশেষ যোগ্যতা যা সবার থাকে না। আমি সকল বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকদের আহ্বান করছি সারাবছর আন্তঃবিভাগ ও আন্তঃহল বিতর্কের আয়োজন করা এবং সারাবছর চালিয়ে যাওয়ার জন্য যা সহযোগিতা দরকার সেটা আমি করবো।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘আমরা জানি তথ্য ও যুক্তি অন্যতম উপাদান বিতর্কের তবে সেখানে যদি রসদ না থাকে সেটাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায় না এবং সেখানে যদি তথ্য না থাকে তখন যুক্তিকে দাঁড় করানো যায় না। আমি মনে করি যারা বিতর্কের সাথে জড়িত আছে তারা প্রেজেন্টেশনে নিঃসন্দেহে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারে অর্থাৎ বিতর্ক শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিজীবনে যেমন কাজে লাগে তেমনি পড়ালেখাতে কাজে লাগে’।

সমাপনী বক্তব্যে ড. মো. আবদুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে আরও সমৃদ্ধ করতে, আর সেই ভাবনা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ। প্রতিটি দলে চারজন করে বিতার্কিক অংশগ্রহণ করছে, যেখানে ৮০-এর বেশি বিতার্কিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। এটি একটি বৃহৎ প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি হিসেবে নেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন...